জরুরি প্রয়োজনে প্রবাসীদের মালয়েশিয়া ত্যাগের অনুমতি আরএমসিও শেষে পূনঃ প্রবেশ

চিকিৎসা ও জরুরি প্রয়োজনে মালয়েশিয়া অবস্থানরত প্রবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরার অনুমতি দিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র মন্ত্রী দাতোক সেরী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব ( Datuk seri ismail sabri Yakoob) । বর্তমানে চলমান রিকভারি মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (আরএমসিও) চলাকালীন সময়ে তারা দেশটিতে পুনরায় প্রবেশ করতে পারবেন না বলে জানানো হয় এবং আরএমসিও শেষ হলে নিদিষ্ট নিয়ম মেনে প্রবাসীরা পূনরায় প্রবেশ করতে বিভিন্ন শর্ত দিয়েছেন তিনি।
শনিবার(২৭জুন) মালয়েশিয়ার দ্য স্টার অনলাইন পত্রিকায় এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয় । প্রতিবেদনে বিস্তারিত জানানো হয়, শনিবার ২৭ জুন কোভিড -১৯ জুন পরিস্থিতি মোকাবেলায় মন্ত্রী পরিষদের বিশেষ বৈঠকে এই স্বীদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে আরো স্বীদ্ধান্ত নেওয়া দেশীয় মাছের চাহিদা নিশ্চিত করতে দেশীয় মাছ ধরার ট্রলারে বিদেশি কর্মী নেওয়া হবে না ।
বৈঠকে স্বীদ্ধান্ত নেওয়া হয়,আরএমসিও শেষে বিদেশী নাগরিকদের আগে তাদের নিজ নিজ সরকার থেকে তাদের দেশ ত্যাগের অনুমতি নিতে হবে। এবং যারা মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করবেন “তাদের অবশ্যই ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে অস্থায়ী কর্মসংস্থান(temporary employment pass) পাসের জন্য আবেদন করতে হবে, পাশাপাশি কোভিড -১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট ও ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে এবং এই খরচ নিয়োগকারীদের বহন করতে হবে। তবে কত তারিখ থেকে ছুটিতে থাকা প্রবাসীরা ফিরতে পারবেন সেটা স্পষ্ট করে বলা হয়নি। যারা মালয়েশিয়া থেকে জরুরী ভাবে বা চিকিৎসা জনিত কারনে নিজ দেশে ফিরতে চান তাদের নিজ দূতাবাস থেকে অনুমতি সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়, চলমান রিকভারি মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার ( আরএমসিও) কার্যকর ও অবৈধ অভিবাসীদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী, মেরিটাইম এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি এবং বর্ডার সিকিউরিটি এজেন্সির সমন্বয়ে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। গতকাল আরএমসিও এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) লঙ্ঘনের দায়ে ৫৩ জন কে গ্রেফতার পূর্বক ৮ জন কে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে এবং বাকি ৪৫ জনের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে।