ডেক্সামেথাসোনের উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

গুরুতর করোনা রোগীর চিকিৎসায় সহায়ক ডেক্সামেথাসোনের উৎপাদন আরও বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গিব্রাইয়াসুস।
ব্রিটিশ গবেষকেরা জানিয়েছেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে এই ওষুধটি ভেন্টিলেটরে যাওয়া এক তৃতীয়াংশ রোগীর জীবন বাঁচিয়েছে। যাদের অক্সিজেন সাপোর্ট দরকার হয়েছে তাদের মধ্যে এক পঞ্চমাংশ রোগী বেঁচে ফিরেছেন। করোনার চিকিৎসায় এমন উপকারিতা এতদিন কোনও ওষুধে পাওয়া যায়নি। তবে উপসর্গের তীব্রতা কম থাকলে এটি কোনও কাজে আসবে না; বরং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই বাড়িতে ব্যবহার করা যাবে না।
‘ট্রায়ালের ডেটা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও বর্তমান ফলাফলে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের ক্ষেত্রে ডেক্সামেথাসোনের জীবন রক্ষাকারী ক্ষমতা দেখা গেছে। এটি আমাদের বহুল প্রতীক্ষিত উদযাপনের উপলক্ষ এনে দিয়েছে।’
জেনেভা থেকে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সোমবার ওষুধটি নিয়ে এভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে গিব্রাইয়াসুস বলেন, ‘এখন পরবর্তী চ্যালেঞ্জ উৎপাদন এবং বিশ্বজুড়ে সমানভাবে বিতরণ করা। দেখতে হবে কোথায় এটি বেশি দরকার।’
এই ওষুধটি বাংলাদেশসহ অধিকাংশ দেশে কয়েক যুগ ধরে তৈরি হচ্ছে। করোনা মোকাবিলায়ও ব্যবহার করা হচ্ছে। এতদিন করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহারে উপকারিতা পেলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে ‘নিশ্চয়তা’ এই প্রথম জানলেন দেশীয় চিকিৎসকেরা।
ডেক্সামেথাসোন স্টেরয়েড ট্রিটমেন্ট। ১৯৬০ সালের দিক থেকে এটি নানা ধরনের প্রদাহ এবং অ্যাজমা রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।