ঢাকা শুক্রবার, ১৬ই মে ২০২৫, ২রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২


পম্পেও’র দুর্নীতির তদন্ত করায় কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প


১৬ মে ২০২০ ২৩:০০

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিদর্শক স্টিভ লিনিককে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, লিনিকের ওপর তার পূর্ণ আস্থা নেই, কাজেই তাকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে অপসারণ করা হবে।-খবর বিবিসির

খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগের তদন্ত করছিলেন বরখাস্ত হওয়া ওই কর্মকর্তা।

ডেমোক্র্যাটরা বলছেন, প্রশাসনকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে চাওয়া সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছেন ট্রাম্প।

শুক্রবার হাউস স্পিকার ন্যানসি পেলোসিকে পাঠানো এক চিঠিতে ট্রাম্পের উদ্ধৃতিতে বলা হয়েছে, এটা গুরুত্বপূর্ণ যে মহাপরিদর্শক হিসেবে নিযুক্তদের প্রতি আমার সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। কিন্তু এই মহাপরিদর্শকের ক্ষেত্রে সেটি প্রযোজ্য হবে না।

লিনিককে বরখাস্তের পর হাউসের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির প্রধান বলেন, পররাষ্ট্র ন্ত্রী মাইক পম্পেওর বিরুদ্ধে একটি তদন্ত উন্মুক্ত করেছিলেন লিনিক।

বিবৃতিতে ডেমোক্রেটিক এলিওট এঞ্জেল বলেন, মহাপরিদর্শককে বরখাস্তের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট একটি জঘন্য কাজ করেছেন। মূলত নিজের সবচেয়ে অনুগত সমর্থক পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে রক্ষা করতেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমি জানতে পেরেছি যে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর বিরুদ্ধে একটি তদন্ত শুরু করেছিলেন মহাপরিদর্শক। সেই তদন্তের মধ্যেই লিনিককে বরখাস্ত হওয়ার ঘটনা জোরালোভাবেই বলে দিচ্ছে, তার বিরুদ্ধে এটা বেআইনি প্রতিশোধ নেয়া হয়েছে।

তবে পম্পের বিরুদ্ধে তদন্ত নিয়ে খুব বেশি তথ্য দেননি এলিওট। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কংগ্রেসের সহায়তাকারী বলেন, পম্পেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মীদের অন্যায়ভাবে ব্যবহার করেছেন। তাদের দিয়ে ব্যক্তিগত কাজ করাতে চেয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছেন। সেই নালিশের তদন্ত করছিলেন লিনিক।

সাবেক কৌঁসুলি লিনিককে নিয়োগ দিয়েছিলেন ট্রাম্পের পূর্বসূরি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অব্যবস্থাপনা দেখভাল করার দায়িত্ব ছিল তার।

ন্যানসি পেলোসি বলেন, সংবিধান ও জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষায় লিনিক সম্মানের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিলেন। এ কারণেই বরখাস্তের মাধ্যমে তাকে শাস্তি দেয়া হয়েছে।