করোনার প্রথম ভ্যাকসিন তৈরির দাবি ইতালির

বিশ্বজুড়ে মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৩৬ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আর এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৫৭ হাজারেরো বেশি মানুষের। কিন্তু করোনা ভাইরাস রোধে এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনো ভ্যাকসিন বের হয়নি। অবশেষে আশার আলো দেখাল ইতালি। নভেল করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক (ভ্যাকসিন) পাওয়া গেছে! করার জন্য করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করে ফেলেছেন বলে দাবি করেছেন ইতালির একদল বিজ্ঞানী।
মঙ্গলবার সায়েন্স টাইমস ম্যাগাজিনে দেয়া বিবৃতিতে গবেষকরা ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের দাবি করেছেন। তারা বলেছেন, রোমের স্প্যালানজানি হাসপাতালে বিশেষজ্ঞরা করোনার প্রতিষেধক তৈরি করেছেন। এটি ইঁদুরের শরীরে প্রয়োগ করে সাফল্য পাওয়া গেছে। এটি মানব দেহেও প্রয়োগ করলে সফলতা পাওয়া যাবে।
গবেষকরা ইঁদুরের শরীরে এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করে দেখেছেন, এতে করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে। এ ধরনের পাঁচটি ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট (সরকারি অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা প্রতিষেধক) বিপুল সংখ্যাক অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এদের মধ্যে সেরা দু’টি প্রতিষেধক অনুমোদনের জন্য নির্ধারণ করেছেন গবেষকরা। তাদের বিশ্বাস, প্রতিষেধকটি এই গ্রীষ্মের পরেই ব্যবহারের ছাড়পত্র পাওয়া যাবে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এত দ্রুত ভ্যাকসিন তৈরি এবং মানবদেহে প্রয়োগের এমন নজির আর নেই।
পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন গুলোতে মোটামুটি দুই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। ভাইরাসের অতি ক্ষুদ্র একটি দুর্বল অংশ শরীরে প্রয়োগ করে ওই ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরের রোগ প্রতিরোধী অংশকে সক্রিয় করা এবং ওই ভাইরাসকে মনে রাখা। যাতে করে পরবর্তীতে সত্যিকার আক্রমণ ঠেকানো যায়। এটি প্রচলিত পদ্ধতি। বাজারের অধিকাংশ ভ্যাকসিন এই পদ্ধতিতে তৈরি। তবে ইতালির দাবি যদি সত্যি হয় তবে তা হবে বিজ্ঞানের বড় জয়।
বর্তমানে জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির গবেষণা চলছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।আগামী সেপ্টেম্বরে এই ভ্যাকসিন বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে ভারতের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানী। তার আগেই ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের ঘোষণা দিল ইতালি। সূত্র : সিএনবিসি