ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৫ই মে ২০২৫, ২রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২


স্বীকার করলেন পুতিন


২৯ এপ্রিল ২০২০ ১৮:২৩

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন স্বীকার করেছেন। বলেছেন, তার দেশের মেডিকেল সেবাদানকারীদের জন্য সুরক্ষা সামগ্রি বা কিটের সঙ্কট রয়েছে। অন্যদিকে দেশ লড়াই করছে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে। তিনি বলেছেন, উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমদানি করা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও এই সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। সবাইকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, এখনও করোনা ভাইরাসে সংক্রমণের হার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেনি তার দেশে। তাই জনগণকে অবশ্যই চোখমুখ খোলা রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের জন্য লকডাইনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ১১ই মে পর্যন্ত। এখন পর্যন্ত রাশিয়াতে কমপক্ষে ৯৩ হাজার মানুষ করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। মারা গেছেন ৮৬৭ জন। এ খবর দিযেছে অনলাইন বিবিসি।

এতে আরো বলা হয়, ফ্রন্টলাইনে থেকে যেসব স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করছেন তাদের সুরক্ষা সামগ্রি যেমন পিপিইর সঙ্কট রয়েছে। তার ভাষায় আগের দিনের তুলনায় প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন হচ্ছে এসব সামগ্রি। তবে আমাদের চাহিদার তুলনায় তা যথেষ্ট নয়। টেলিভিশনে প্রচারিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেছেন তিনি। তার ভাষায়, উৎপাদন ও আমদানি বৃদ্ধি সত্ত্বেও এসব সামগ্রিতে ঘাটতি আছে।

ওদিকে স্বাস্থ্যকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন, এসব সামগ্রির সঙ্কটের কথা। তারা বলছেন, এসব নিরাপত্তা পোশাক ছাড়াই তাদেরকে কাজ করতে হচ্ছে। বিশেষ করে রাশিয়া অঞ্চলে। রাশিয়া বর্তমানে প্রতিদিন এক লাখ সুরক্ষা স্যুট বা পিপিই উৎপাদন করছে। মার্চের চেয়ে এই সংখ্যা ৩০০০ বেশি। এ তথ্য দিয়ে পুতিন আরো বলেছেন, ফেসমাস্কের উৎপাদন বৃদ্ধি করা হয়েছে ১০ গুনের বেশি। এপ্রিলে তা দিনে ৮৫ লাখ পিস উৎপাদন করা হচ্ছে। পুতিন বলেছেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার ধীরগতির করা হয়েছে। তবে রাশিয়ানদের আরো সময় আইসোলেশনে থাকতে হবে। তিনি বলেছেন, এই লকডাউন আরো দুই সপ্তাহ অব্যাহত থাকবে। তার ভাষায়, এই ভাইরাসের ভয়াবহতা এখনও বিদ্যমান।

লকডাউনে থাকার এক মাস পরে রাশিয়ানরা এরই মধ্যে অস্থির হয়ে উঠেছেন। রাস্তাগুলো আবার ব্যস্ত হওয়া শুরু করেছে। তাই এ সময়ে পুতিনের এই বক্তব্য তাদের মধ্যে আবারও আশা ও সতর্কতাকে জাগিয়ে তুলেছে। সরকার এখন আস্তে আস্তে ও সতর্কতার সঙ্গে এক পর্যায়ে এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসবে। কিন্তু এখনও সংক্রমণের চূড়ান্ত দশা পেরিয়ে যায়নি এবং এই মহামারির উচ্চ ঝুঁকি অব্যাহত রয়েছে। তাই বিধিনিষেধ অব্যাহত থাকছে। অন্তত মে মাসের দীর্ঘ ছুটির পরও এ অবস্থা থাকতে পারে। এ অবস্থাকে সন্তোষজনক নয় বলে স্বীকার করেছেন পুতিন। তিনি মনে করেন, এই হুমকি পেরিয়ে গেলেও পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ।

বিশ্বে করোনা সংক্রমণে এখন অষ্টম অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। দেশে এখন পর্যন্ত যাদের করোনা শনাক্ত করা হয়েছে, তাদের প্রায় অর্ধেকই এখনও হাসপাতালে অবস্থান করছেন। মস্কোতে এই সংখ্যা ২০,০০০ এর উপরে। এতে সেখানকার স্বাস্থ্য খাতে বড় রকমের টান সৃষ্টি হয়েছে। সেনাবাহিনীর একটি থিম পার্ক এবং একটি এক্সপো সেন্টার এখন অস্থায়ী হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছে।