এক মিনিট আগেও ছিল স্বাভাবিক, মুহূর্তেই মৃত্যু

প্রতিদিন মৃত্যু বাড়ছে আমেরিকায়। যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে চার লাখ ৩৪ হাজার নয়শ ৭৭ জন এবং মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার সাতশ ৭৮ জনে। এর আগের দিন বুধবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল চার লাখ চারশ ১২ জন এবং মৃতের সংখ্যা ছিল ১২ হাজার আটশ ৫৪ জন।
সংখ্যাটা কোথায় গিয়ে থামবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজেও তা জানেন না। তবে সংখ্যাটা যে ২ লাখে গিয়ে ঠেকবে, তা আগাম জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
এবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটল নিউইয়র্কে। যা দেখে চিকিৎসক এবং নার্সরা বিস্মিত হয়ে পড়েছেন। এখনো আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে; সেই সঙ্গে মৃতের সংখ্যাও বেড়েই চলেছে। কেবল নিউইয়র্ক শহরে বুধবার পর্যন্ত আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে দেড় লক্ষাধিক মানুষ। যা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো শহরে সর্বোচ্চ সংখ্যক আক্রান্তের সংখ্যা। ব্যাপক হারে মৃত্যুর ঘটনার জেরে নিউইয়র্কের গভর্নর মার্কিন পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
গভর্নর অ্যান্ড্রু কওমো বলেছেন, এই ভাইরাসটি দুর্বলদের আক্রমণ করছে। শারীরিকভাবে কিছুটা দুর্বলদের ওপর এটি চেপে বসছে। আমাদের সমাজের উচিত দুর্বলদের সুরক্ষা দেওয়া। তবে চিকিৎসক এবং নার্সরা বলছেন, করোনাভাইরাস কেবল দুর্বলদের ওপর চড়াও হচ্ছে না। এক মিনিট আগেও যারা স্বাভাবিক ছিল, পরের মুহূর্তেই মৃত্যু তাদের আলিঙ্গন করছে। অল্পবয়সী থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যবানরাও আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে।
নিউইয়র্ক শহরের মাউন্ট সিনাই হসপিটালের নার্স ডিয়ানা টরেস বলেন, রোগীদের ভালো দেখছি, তাদের অবস্থা স্থিতিশীল, তারপর ঘুরে এসেই দেখা যাচ্ছে- তারা আর সাড়া দিচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, ‘আমি নির্বিকার, হাসপাতালে তাদের কেবিন থেকে বেরিয়ে আসতেও ভয় পাচ্ছি।’