সেনাবাহিনীতে পুরুষের পাশাপাশি নারী নেতৃত্বের পক্ষে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট
-2020-02-17-15-08-05.jpg)
পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও ভারতের সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিতে পারবেন বলে রায় দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
সোমবার ঐতিহাসিক এক রায়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট জানান, পুরুষদের পাশপাশি নারী কর্মকর্তারাও সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিতে পারবেন। আদালতের রায়ে বলা হয়, সেনাবাহিনীতে নারী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান বৈষম্যমূলক ও বিরক্তিকর।
সম্প্রতি কমান্ডিং কর্মকর্তা পদের দাবি জানিয়ে আবেদন করেছেন কয়েকজন নারী। সে আবেদনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় ভারত সরকার। সে পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ রায় দেন। আগামী তিন মাসের মধ্যেই এ রায় কার্যকরের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এ রায় অনুযায়ী, মেধা ও যোগ্যতার ওপর ভিত্তিতে করে পুরুষ সহকর্মীদের পাশপাশি সেনাবাহিনীর নারী কর্মকর্তারাও কর্নেল বা তার ওপরের পদ পেতে পারেন। একজন কর্নেল একটি ব্যাটালিয়ন পরিচালনা করেন, যেখানে প্রায় ৮৫০ সেনা থাকে। একজন নারী কর্মকর্তারাও এখন থেকে এ দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
সেনাবাহিনীর শর্ট সার্ভিস কমিশনে (এসএসসি) ১৪ বছরের কম সময় চাকরি করা নারীদের স্থায়ী কমিশন দেওয়া হবে কি-না এ প্রসঙ্গে আদালত জানান, এসএসসিতে ১৪ বছরের বেশি চাকরি করলেই শুধু নয়, সব নারী কর্মকর্তাকে স্থায়ী কমিশন দিতে হবে।
ঐতিহাসিক এ রায়ে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি অজয় রাস্তোগি বলেন, নারীদের শারীরবৃত্তীয় বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে তাদের অধিকারের কোনো যোগসূত্র নেই। তাই বৈষম্যমূলক মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে।
সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তি দেওয়া হয়, সেনারা সাধারণত গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসেন। নারী কর্মকর্তাদের নির্দেশ পালনের জন্য এখনো মানসিকভাবে প্রস্তুত নয় তারা।
আদালত এর বিরুদ্ধে বলেন, পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একযোগে কাজ করতে হবে নারীদের। কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি লিঙ্গ বৈষম্যমূলক। নারী কর্মকর্তারাও দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছেন। সেনাবাহিনীর নারী-পুরুষ বৈষম্যমূলক মানসিকতা দূর করতে হবে।
নতুনসময়/আনু