থেমে গেল আইয়ুব বাচ্চুর সুর

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু আর নেই। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।
এলআরবি’র সদস্য শামীম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় আইয়ুব বাচ্চুর। সকালে হাসপাতালে আনার পর তিনি মারা যান।’
আইয়ুর বাচ্চুর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে এলআরবি ব্যান্ড নিয়ে রংপুরে সংগীত পরিবেশন করেছেন আইয়ুব বাচ্চু। বৃহস্পতিবার সকালে ব্যান্ডের সবাই ঢাকায় ফেরেন। কিন্তু আইয়ুব বাচ্চু অস্বস্তি বোধ করছিলেন। সকাল ৮টার দিকে বাসায় ব্রেইন স্ট্রোক করেন তিনি। তড়িঘড়ি তাকে স্কয়ার হাসপাতালে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর আনুমানিক সকাল ৯টায় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কিংবদন্তী এই সঙ্গীতশিল্পীর মৃত্যুর খবরে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সংগীতাঙ্গনের অনেকে এখন হাসপাতালে ভিড় করছেন। কণ্ঠশিল্পী সামিনা চৌধুরী, দলছুট ব্যান্ডের বাপ্পা মজুমদার, উপস্থাপক হানিফ সংকেত, অভিনেতা শংকর সাঁওজাল, আর্টসেল ব্যান্ডের লিংকনকে দেখা গেছে।
আইয়ুব বাচ্চু একাধারে গায়ক, লিডগিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার, প্লেব্যাক শিল্পী ছিলেন। ‘চলো বদলে যাই’, ‘ফেরারি মন’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘হকার’, ‘আমি বারো মাস তোমায় ভালোবাসি’,‘বাংলাদেশ’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা তিনি।
১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রাম শহরে জন্মগ্রহণ করেন এলআরবি ব্যান্ডের জনপ্রিয় এই ভোকাল। সংগীত জীবনের দীর্ঘ চার দশকে অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান তিনি উপহার দিয়েছেন। ১৯৭৮ সালে ‘ফিলিংস’ ব্যান্ডের মাধ্যমে সংগীতজগতে প্রবেশ করেন আইয়ুব বাচ্চু। শ্রোতা-ভক্তদের কাছে এবি নামেও পরিচিত তিনি। মূলত রক ঘরানার কণ্ঠের অধিকারী হলেও আধুনিক গান ও লোকগীতি দিয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন তিনি।
১৯৯১ সালে তার নেতৃত্বে জন্ম নেয় ‘এলআরবি’ ব্যান্ড। দলটির লিড গিটারিস্ট ও ভোকালও তিনি। এর আগে তিনি প্রায় দশ বছর সোলস ব্যান্ডের সঙ্গে লিড গিটারিস্ট হিসেবে যুক্ত ছিলেন।
আরকেএইচ