ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


ভিয়েতনামে বাংলাদেশের সফল ব্যবসায়ী কে ফাঁসানোর চেষ্টা


১৭ জুলাই ২০২০ ২১:৩৪

ফাইল ছবি

পরিবারের অভাব ও নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় ২০১৮ সালে ইনভেস্টর ভিসা নিয়ে ভিয়েতনামে পাড়ি জমায় কুমিল্লার দাউদকান্দির ছেলে আতিকুর রহমান আতিক। নিজের চেষ্টা ও পরিশ্রমে "ক্যাপ্টেন ইন্টান্যাশনাল লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির বর্তমান কর্ণধার আতিকুর রহমান।যার লাইসেন্স নং=(0315548086001) আতিক এই কোম্পানির নামেই গড়ে তোলেন খাবার হোটেল,কফি শপ,আবাসিক হোটেল, বিভিন্ন কোম্পানিতে ইকুইপমেন্ট সাপ্লাই সহ বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। যেখানে রয়েছে বাংলাদেশী ভিয়েতনামী সহ প্রায় শখানেক শ্রমিক।

এর মধ্যেও ভিয়েতনামী মালিকানাধীন একটি কোম্পানি "নাম ফোং জাং লিমিটেড" এর সাথে জয়েন ভেঞ্চার যৌথ উদ্যোগে কাজ করেন আতিকুর রহমান।

জানা যায়,নাম ফোং জাং কোম্পানি লিমিটেড আল নোমান হিউম্যান রিসোর্স বাংলাদেশ নামে একটি নিয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কিছু শ্রমিকদের জন্য চাহিদাপত্র জারি করে। এবং এই সংস্থার মাধ্যমেই তারা কিছু শ্রমিক নিয়ে যায় এবং তাদের চুক্তি অনুযায়ী কাজ ও প্রদান করে। কিন্তু হঠাৎ করে কিছু শ্রমিক কাজ বন্ধ করে দিয়ে তারা কোম্পানির বিরুদ্ধে এবং আল নোমান হিউম্যান রিসোর্সের স্বত্বাধিকারী সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে কাজ বন্ধ করে দেয় এরপর থেকে কোম্পানির কয়েকজন শ্রমিক অনলাইনে এসে তাদের কাজ বেতন ও কোম্পানির বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে বক্তব্য দেওয়া শুরু করে বিষয়টি বাংলাদেশ প্রশাসনের নজরে এলে, তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশের দালাল চক্রের কয়েকজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।এই ঘটনায় বাংলাদেশে কিছু মিডিয়ায় নিউজ হয় এবং সেখানে ভিয়েতনামে বাংলাদেশী ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান আতিককে জড়িয়ে কিছু বক্তব্য প্রকাশ করে।

এই বিষয়ে আতিকুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে মুঠোফোনে তিনি বলেন, আমি ভিয়েতনামে নিজের চেষ্টা পরিশ্রম ও অর্থের মাধ্যমে একটি লিমিটেড কোম্পানির বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছি। কিছুদিন আগে আমি টিভিতে একটি নিউজ দেখতে পেয়েছি যেখানে ভিয়েতনামে "নাম ফোং জাং লিমিটেড এর কিছু বাংলাদেশী শ্রমিকের বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে অসত্য সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছিল সংবাদে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশ থেকে টুরিস্ট ভিসা দিয়ে দালাদের মাধ্যমে শ্রমিক নেওয়া হয়েছিল এবং শ্রমিকরা ভিয়েতনাম গিয়ে এই নামে কোন কোম্পানির খোঁজ পায়নি কিন্তু সংবাদ টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ছিল।

বাংলাদেশ দূতাবাস ও বাংলাদেশের প্রশাসনের কাছে বিশেষ অনুরোধ জানিয়ে আতিকুর রহমান বলেন,আমি বাংলাদেশের আইনের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল,বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুন্ন হবে এমন কোন কাজ কখনোই করিনি এবং ভবিষ্যতেও করবো না। কিন্তু আমাকে জড়িয়ে যে সংবাদটি প্রচার করা হয়েছে তার সত্যতা যাচাই করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেন ভিয়েতনামে বাংলাদেশের দূতাবাসকে দায়িত্ব প্রদান করেন।তিনি আরো বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি "নাম ফোং জাং লিমিটেড" বাংলাদেশ থেকে যে শ্রমিক নিয়েছে তা টুরিস্ট ভিসা দিয়ে নেয়নি এবং এই কোম্পানিতে কোন শ্রমিকের বেতন বকেয়া রেখে কোন ধরনের নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি। যদিও আমার কোম্পানির সাথে "নাম ফোং জাং লিমিটেডের শ্রমিকদের কোন অভিযোগের সাথে সম্পৃক্ততা নেই।

আতিকুর রহমানের উপর আনীত অভিযোগের বিষয়ে কর্মবিরতিতে থাকা কয়েকজন শ্রমিক এর সাথে কথা বলে জানতে চাওয়া হলে তারা জানান, বর্তমানে ভিয়েতনামে থাকা মোস্তফা জব্বার নাসির গং ম্যান পাওয়ার সাপ্লাই এর নাম করে শ্রমিকদেরকে বিভিন্ন কোম্পানিতে কেনাবেচার নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কোন শ্রমিক কথা বললেই বিভিন্ন ভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে,কিন্তু ক্যাপ্টেন ন্যাশনাল লিমিটেডের সিইও আতিকুর রহমান আতিক আমাদের কোম্পানিতে ওয়ার্ক পারমিট, বেতন বকেয়া বা দেশ থেকে আমাদেরকে কোম্পানিতে আনার ব্যাপারে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই উল্টো তিনি আমাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য বিভিন্ন সময়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।