ঢাকা বুধবার, ৮ই মে ২০২৪, ২৬শে বৈশাখ ১৪৩১


কোটা বহালের দাবিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মহাসড়ক অবরোধ


৫ অক্টোবর ২০১৮ ০৫:০৪

সরকারি চাকরিতে ১ম ও ২য় শ্রেণির নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা না রাখার সুপারিশের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড। এসময় তারা ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে।

বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে প্রায় ২০-২৫ জন আন্দোলনকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নেয়। এসময় তারা রাস্তার উপর টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। দুই ঘণ্টার বেশি সড়ক অবরোধ করে রাখায় রাস্তার দু’পাশে তীব্র যানযট সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, কোটা বহালের পক্ষে আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন ধরণের প্ল্যাকার্ড বহন করে এবং কোটা বহাল চেয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। এছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে রাজাকার আখ্যা দিয়ে ‘রাজাকারের সুপারিশ’ ‘মানিনা মানব না। আমার বাবার অপমান মানিনা মানবো না’

‘মুক্তিযোদ্ধার অপমান মানিনা মানবো না’ও ‘একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেক বার’সহ নানা ধরণের স্লোগান দেয় তারা। এসময় ৩০ জনেরও বেশি পুলিশকে দুইদিক থেকে তাদের নিরাপত্তা দিতে দেখা গেছে। পুলিশ রাস্তা বন্ধ করে গাড়ি উল্টো পথে ফিরিয়ে দেয়। আন্দোলনের এক পর্যায়ে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে এক মোটরসাইকেল আরোহী পুলিশের ব্যারিকেডের মধ্য দিয়ে চলে যেতে চাইলে আন্দোলনকারী কয়েকজন তাকে মারতে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। তবে আন্দোলনকারীরা বেলা ১২টা নাগাদ চলে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলো কোন রুটে চলাচল করেনি।

এদিকে একাধিক আন্দোলনকারী জানান, মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হয়েছে। এ কোটা বাতিলের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের বেকারত্বের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। সরকার আন্দোলনের মুখে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা অযৌক্তিক। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান রেখে কোটা বহাল রাখা উচিৎ বলে জানান তারা।

সংগঠনটির সভাপতি তারিক হাসান বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতাযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু পুরস্কার হিসেবে ৩০ শতাংশ কোটা দিয়েছিলেন। সেই কোটাকে বাতিল করা মানে বঙ্গবন্ধুকে অপমান করা। পুনরায় কোটা বহালের কমিটি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।

এর আগে একই দাবিতে বুধবার দিবাগত রাত ১১ টা থেকে ১টা পর্যন্ত প্রায় ১০-১৫ জন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটকের সামনে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।

উল্লেখ্য, ৩ অক্টোবর মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরকারি চাকুরির নিয়োগে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণী পদে বিদ্যামান কোটা পদ্ধতি তুলে দিয়ে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সরকার। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার রাতেই কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বিক্ষোভে নামে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড রাবি শাখা।


এমএ