ঢাকা শুক্রবার, ১২ই সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯শে ভাদ্র ১৪৩২


মাছ-মুরগিতে স্বস্তি নেই, সবজির দাম আকাশছোঁয়া


১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:২৫

সংগৃহীত

ছুটির দিনে রাজধানীর বাজারে মাছের দাম চড়া। পূজা উপলক্ষে আরও চড়েছে ইলিশের বাজার। তবে বিক্রেতাদের দাবি, জেলেদের হাত ঘুরে নানাভাবে ইলিশ ভারতে চলে যাচ্ছে। সেজন্য বড় আকারের ইলিশ মিলছে না। অন্যদিকে নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছে পোল্ট্রি বাজারে। কেজি প্রতি ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ২০ টাকা; বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা কেজিতে।

 

আর বৃষ্টির দাপট কমলেও, নিম্ন ও মধ্যবিত্তের নাগালে আসেনি অনেক সবজি। একাধিক পণ্যের দর দেড়শ টাকার ওপরে। চোখে পানি আনছে কাঁচামরিচের দামের ঝাঁজ। যদিও ব্যবসায়ীদের যুক্তি, আগের চেয়ে আবাদ কমেছে। তার ওপর পাইকারি ও খুচরা বাজারের দামে বিস্তর ফারাক।

 

এখন মাছের ভরা মৌসুম। তবুও বাজারে সরবরাহও আগের চেয়ে বেশি। নদ-নদী আর খাল-বিলের সুস্বাদু মাছের দেখা মিলছে। কিন্তু দামে স্বস্তি নেই। যোগান বাড়লেও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি বাজারে। বেশিরভাগ চাষের মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজিতে। আর নদ-নদীর মাছের জন্য গুনতে হচ্ছে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি। দীর্ঘদিন ধরে মাছ বাজারের এমন চড়া দামে বেকায়দায় পড়েছেন সীমিত আয়ের ক্রেতারা।

 

একজন ক্রেতা বলেন, মাছের দাম কমেনি, আগের মতো দামেই মাছ কিনছি। এমন নয় যে মৌসুম আসছে বলে দাম কমছে।

 

বিক্রেতাদের দাবি, গত সপ্তাহের মতো মাছের দাম একই আছে। বৃষ্টি হওয়ায় ক্রেতাদের আনাগোনা অনেকাংশেই কম। পাবদা ও শিং মাছ গত সপ্তাহের মতোই ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

 

ধরা ছোয়ার বাইরে এখন ইলিশের বাজার। পূজা উপলক্ষে দাম আরও এক দফা চড়েছে। এক কেজি আকারের নদীর ইলিশের জন্য দিতে হবে ২৭০০ থেকে ২৮০০ টাকা। আর ৬০০-৭০০ গ্রামের ইলিশের জন্য দিতে হবে ১৬০০ টাকা কেজি। বিক্রেতাদের দাবি, পূজা উপলক্ষে জেলেদের হাত ঘুরে নানাভাবে ইলিশ চলে যাচ্ছে পাশ্ববর্তী দেশে।

 

ক্রেতারা বলেন, অন্যান্য মাছের দাম ১০০ থেকে ২০০ টাকার পার্থক্য আছে। আর ইলিশের আশপাশে তো যাওয়াই যায় না। তবে বিক্রেতারা বলেন, ইলিশের দাম কে বাড়াচ্ছে জানি না। পূজা উপলক্ষে চোরাইভাবে ইলিশ ভারতে চলে যাচ্ছে, ঢাকায় আসছে না।

 

স্বস্তি নেই পোল্ট্রি বাজারেও। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ২০ টাকার বেশি। বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়। তবে সামান্য কমেছে সোনালী মুরগির দাম। এক কেজির জন্য দিতে হবে ৩১০ টাকা। এক বিক্রেতারা বলেন, ব্রয়লার মুরগি আজকে আগের থেকে একটু দামে বিক্রি করছি।

 

ডিমের বাজার স্থিতিশীল। প্রতি ডজন লাল ডিম মিলছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। আর সাদা ডিমের দাম হচ্ছে ১২০ টাকা ডজন।

 

এদিকে, বৃষ্টির দাপট কমলেও, নিম্ন ও মধ্যবিত্তের নাগালে অনেক সবজি আসেনি। একাধিক পণ্যের দাম দেড়শ টাকার ওপরে। চোখে পানি আনছে কাঁচামরিচের দামের ঝাঁজ। ব্যবসায়ীদের যুক্তি, আগের চেয়ে আবাদ কমেছে। তার উপর পাইকারি ও খুচরা বাজারের দামে বিস্তর ফারাক।

 

বাজারের বিভিন্ন ধরনের সবজি আছে, সবগুলোর দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকার কাছাকাছি। বিশেষ করে সবচেয়ে দামি সবজি এই মুহূর্তে কাঁচামরিচ, যা ২০০ টাকা কেজির বেশি। টমেটো, গোল বেগুন এবং গাজরের মতো অন্যান্য সবজির দামও কাছাকাছি অবস্থায় ওঠানামা করছে।

 

তবে ক্রেতারা বলছেন, একদিকে মাছ-মাংসের দাম মধ্যবিত্তের নাগালে নেই। সেজন্য তারা কিছুটা সবজি খেয়ে দিন পার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেটিও এখন সম্ভব হচ্ছে না।