ঢাকা রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১


নির্দিষ্ট বাজার নির্ভরতা ঝুঁকিতে ফেলবে বাংলাদেশকে


৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৫:০১

ছবি সংগৃহীত

নির্দিষ্ট বাজার নির্ভরতা বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য এবং অর্থনীতিকে ঝুঁকিতে ফেলবে। এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য বহুমুখীকরণের কোনো বিকল্প নেই। তাই নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধানে যৌথভাবে কাজ করবে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।

 

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) এফবিসিসিআই কার্যালয়ে সংগঠনটির সভাপতি মাহবুবুল আলমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে আসেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। এসময় বাণিজ্য সম্প্রসারণে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহের কথা জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও এফবিসিসিআই।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘বিভিন্ন দূতাবাস এবং মিশনে দায়িত্বরত কমার্শিয়াল কাউন্সেলররা সেসব দেশে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যের প্রচার করলে আমাদের রপ্তানি পণ্যের বাজার আরও সম্প্রসারিত হবে। পাশাপাশি যেসব দেশে আমাদের কোনো পণ্যের ভালো সম্ভাবনা রয়েছে সেটি জানালে ব্যবসায়ীরা উদ্যোগ নিতে পারে।’

এ সময় আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের ওপর জোর দেন এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, 'অন্যান্য আঞ্চলিক জোটগুলোর মতো বাংলাদেশকেও আঞ্চলিক বাজারের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। এক্ষেত্রে বিমসটেকের মতো আঞ্চলিক জোটের মাধ্যমে বিভিন্ন মেলা আয়োজন, বিজনেস ফোরাম এবং বিমসটেক জয়েন্ট চেম্বার গঠন করা যেতে পারে। 

বাংলাদেশের সেরা পণ্যগুলোকে প্রোমোট করার লক্ষ্যে শিগগিরই ভারতের মুম্বাইয়ে বেস্ট অব বাংলাদেশ এক্সপো আয়োজন করার পরিকল্পনার কথাও জানান মাহবুবুল আলম।

নির্দিষ্ট বাজার নির্ভরতা বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য এবং অর্থনীতিকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, 'আমাদের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগই আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। পণ্যের বহুমুখীকরণে ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে। বিদেশে পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে নতুন বাজার অনুসন্ধানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তৎপর বলেও জানান তিনি।

রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে বেসরকারি খাত এবং সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক আরও জোরদারের করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন পররাষ্ট্রসচিব। বিভিন্ন মিশনে থাকা কমার্শিয়াল কাউন্সেলররা নতুন বাজার সম্প্রসারণে কোন কোন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে পারে, সে বিষয়ে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা চান তিনি।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই এর সহ-সভাপতি খায়রুল হুদা চপল, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, শমী কায়সার, রাশেদুল হোসেন চৌধুরী রনি এবং এফবিসিসিআই’র পরিচালকরা।