৪ জনের ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা, একজনের সাথে কিশোরীর বিয়ে

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে চার যুবকের ধর্ষণের শিকার হয়ে এক কিশোরী আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত চার ধর্ষকের একজনের সঙ্গে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর বিয়ের আয়োজন করেছেন গ্রামের মাতব্বরা। এজন্য ওই চার ধর্ষকের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানাও আদায় করেছেন তারা।
এ জরিমানার টাকা দিয়ে শনিবার বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। অভিযুক্ত চার ধর্ষকের মধ্যে পছন্দের ছেলের সঙ্গে বিয়ে হবে ওই কিশোরীর।
ঘটনাটি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ১০নং দক্ষিণ গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড ডাটরা শিবপুর গ্রামের গাজী বাড়ীতে।
জানা যায়, কয়েক দিন আগে ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর ওই কিশোরীর মা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে বেরিয়ে আসে অন্তঃসত্ত্বার খবর। দরিদ্র মা একজন ভিক্ষুক, বাবা ফজুলল হক থেকেও নেই। কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে একই বাড়ীর চার যুবকের নাম। গ্রামবাসী ইজ্জত রক্ষার্থে চার যুবকের কাছ থেকে প্রায় ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে ব্যাংকে জামা রাখেন। সেই টাকা দিয়ে শনিবার ওই কিশোরীর পছন্দমতো পাত্রের কাছে বিয়ের অয়োজন করছেন এলাকার মাতব্বরা।
ধর্ষিতা কিশোরীর দেয়া তথ্য মতে একই বাড়ীর ইসমাইলের ছেলে রাব্বি (১৯), বিল্লালের ছেলে মেরাজ (২২), রফিকের ছেলে ইসমাইল (২১) ও সিরাজের ছেলে আরফিন আমিনুল (২০) মিলে তার এই সর্বনাশ করেছে।
শুক্রবার দুপুরে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য ওহিদুল ইসলাম বলেন, অর্থদণ্ডের টাকাগুলো ব্যাংকে জমা আছে। আমরা সমাজের ইজ্জত রক্ষার্থে বিয়ের ব্যবস্থা করছি। সকল প্রস্তুতি শেষ। শনিবার বিয়ে দেব। তবে পাত্র ওই কিশোরীর পছন্দমতো যে কেউ একজন হবেন।
এলাকার মাতব্বর মো. মোস্তফা কামাল জানান, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমরা এলাকায় সালিশ করেছি। অভিযুক্ত চার যুবককে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিন বাচ্চু বলেন, ‘আমি ওই কিশোরীর অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জেনেছি। বিস্তারিত এখনো জানতে পারিনি।’
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, এমন ঘটনার কোনো অভিযোগ আসেনি।
নতুনসময়/আইকে