দক্ষিণখানে ক্লিনিকে শিশু রোগীকে ধর্ষণ, চিকিৎসক গ্রেফতার

রাজধানীর দক্ষিণখানে একটি ক্লিনিকে ১৩ বছরের এক শিশু রোগীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে সেখানকার পল্লী চিকিৎসক বিজয় কৃষ্ণ তালুকদারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে ওই শিশুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী।
শনিবার রাতে ধর্ষণের অভিযোগে শিশুটির পরিবার মামলা দায়ের করলে, সে মামলার আসামি চিকিৎসক বিজয় কৃষ্ণকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
শিশুটির বাবা জানান, আমরা উত্তরখান এলাকায় থাকি। গত ২৩ এপ্রিল আমার মেয়ের জ্বর হলে তাকে দক্ষিণখানের চালাবন এলাকার ‘দরিদ্র পরিবার সেবা সংস্থা নামে একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাই। সেখানে পল্লী চিকিৎসক বিজয় তাকে দেখেন এবং প্রেসক্রিপশনে ‘সিডিল’ লিখে সেটা আনতে পাঠান আমাকে। আমি দীর্ঘ এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় খুঁজে বের করে সিডিল নিয়ে ক্লিনিকে যাই। এরপর চিকিৎসা শেষে মেয়েকে বাসায় নেওয়া হয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, পল্লী চিকিৎসক বিজয় আমার মেয়েকে ভয় দেখানোর কারণে এতোদিন সে কিছু বলেনি। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সে আমাদের কাছে সবকিছু খুলে বলে। সে জানায়, ওইদিন আমি ওষুধের জন্য বাইরে গেলে, এ সুযোগে বিজয় তাকে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করেন।
এদিকে, পল্লী চিকিৎসক বিজয় কৃষ্ণ তালুকদার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ওই মেয়েটি আমার ক্লিনিকে এসেছিল। তাকে চিকিৎসা দিয়েছি। এছাড়া অন্য কোনো ঘটনা ঘটেনি। ওই মেয়ের পরিবারের সঙ্গে আমাদের জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। আমি দায়িত্ববোধ থেকে মেয়েটিকে চিকিৎসা দিয়েছি। তাছাড়া তার পরিবারের সবাই আমার কাছে চিকিৎসার জন্য আসে। ওই মেয়ের ফুফুর কাছ থেকে জমি কিনেছিলাম। এই জমি নিয়ে তাদের সঙ্গে আমার বিরোধ। এই বিরোধের কারণে তারা আমাকে ফাঁসানোর জন্য এমন নাটক করছে বলে দাবি করেন চিকিৎসক বিজয়।
দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) শফিকুল গণি সাবু বলেন, রাতে ওই শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে পল্লী চিকিৎসক বিজয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া ওই শিশুকে চিকিৎসার জন্য রাত ১২ টায় ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
নতুনসময়/আইকে