সেই পেশাদার অপহরনকারী রুহুল আমিন গ্রেপ্তার

যাত্রাবাড়ীর মৃধাবাড়ী, শনির আখড়াসহ অন্যান্য এলাকায় বেশ কয়েকটা অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছে রুহুল আমিন। অবশেষে আল আমিন নামের একটা বাচ্চা অপহরনের ঘটনায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রুহুল আমিন একজন পেশাদার অপহরনকারী। বাবা মায়ের মোবাইল ফোন নম্বর জানা এমন ৮-১০ বছরের বাচ্চাদের টার্গেট করে অপহরন করে রুহুল আমিন। রাস্তায় ঘুরে ঘুরে খুঁজতে থাকে শিকার।
বাবা মায়ের অজান্তে খেলতে বাড়ীর বাইরে বেরিয়ে পড়া ছোট বাচ্চাগুলোকে কখনো খেলনা, কখনো মেলা দেখানোর কথা বলে, আবার কখনো চকলেট বা জুস খাওয়ানোর কথা বলে সকলের অজান্তে নিয়ে চলে যায়।
এরপর বাচ্চাটার কাছ থেকেই ফোন নম্বর নিয়ে মোবাইলের এ্যাপস ব্যবহারের মাধ্যমে নারী কন্ঠে বাচ্চা ছেলেটির বাবা মাকে ফোন করে তাকে অপহরন করা হয়েছে বলে জানায়।
অপহরনের খবর শুনেই বাবা মায়ের মরার দশা ! ফোনে বাবা মায়ের আকুতি আর অপহৃত শিশুটির কান্নাও পাষন্ডের কানে যায় না। সকল মায়া মমতা উপেক্ষা করে একসময় বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপণ দাবি করে সে। টাকা পেলে ছেড়ে দেয় বাচ্চাকে। টাকা গেলেও সন্তান হারিয়ে দিশেহারা পরিবার সন্তানটিকে ফিরে পেয়ে হাফ ছেড়ে বাঁচে।
যাত্রাবাড়ী থানার চৌকষ এসআই জয় কৃষ্ণ বর্মন আর পুলিশের পিবিআই এর একটি ঝানু টিমের অসামান্য তৎপরতায় এবার পাতা ফাঁদে পা দেয় রুহুল। ওর কাছ থেকে উদ্ধার হয় শিশু আল আমিনকে। জারিজুরি বাদ দিয়ে বাছাধন এবার স্বীকার করে সবগুলো ঘটনা।
বাচ্চাদের একা বের না হতে দেয়াই ভালো। বাইরে গেলেও চোখে চোখে রাখতে পারলে উত্তম। এ ধরনের কুলাঙ্গারগুলোর কাছ থেকে আমাদের প্রিয় শিশু সন্তানগুলো অন্তত নিরাপদ থাকুক।