ঢাকা মঙ্গলবার, ৭ই মে ২০২৪, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩১

গুলশানে স্পা’র নেপথ্যে লেডি গ্যাং


৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:৫৩

প্রতিকি

# রত্না, সুলতানা ও ইভার জমজমাট দেহ ও মাদক ব্যবসা

রাজধানী জুড়ে চলছে স্পার অন্তরালে মধুকুঞ্জের বাণিজ্য। অসামাজিক কাজ চললেও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সবকিছু জেনেও না জানার ভান করে তাদের যথাযথ দায়ীত্ব পালনে উদাসিনতা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এক শ্রেণির মুনাফালোভী বিল্ডিং মালিকরা স্পার সেন্টারের নামে ভাড়াটিয়াদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা অগ্রিম নিয়ে মাসে ভাড়া নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।

রাজধানীর ডিপ্লোমেটিক জোন কুটনীতিক পাড়া গুলশান হেয়ার কাটিং সেলুন বিউটি পার্লার স্পা সেন্টারের নেপথ্যে চলছে জমজমাট মাদক ও দেহ ব্যবসা। সাথে ভয়ংকর অপরাধমূলক কর্মকান্ড। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবক্ষয়ের কারনে অনেকটা প্রকশ্যেই নীতিহীন ঘৃনীত পাপাচারী দেহ ব্যবসা চলছে। সাথে নানান মাদকদ্রব্যে সয়লাভ করে দিচ্ছে শহর। স্থানীয় থানা পুলিশের নাকের ডগার উপরে কি করে এসব অনৈতক কর্মকান্ড চলছে তা সকলের বোধগম্য নয়।


অনুসন্ধানে জানা গেছে, গুলশানে প্রায় প্রতিটি সড়কে তারা একটা ট্রেড লাইসেন্স আর বাড়ী ভাড়া নিয়ে বিউটি পার্লার অথবা হেয়ার কাটিং সেলুন অথবা স্পা সেন্টার খুলে নির্বিঘ্নে মাদক বিক্রি ও দেহপসারিনির পতিতা বৃত্তি করছে। দেহ ব্যবসা ফাদে ফেলে মানুষকে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গুলশান ২ হোটেল এইজের উপরে রত্না, গুলশান ১ সার্কেলের ১৩১নং সড়কে ৬০/বি খুশবু রেস্টুরেন্টের উপরে বাড়ির চতুর্থ তলায় রয়েছে মালিক সুমনার স্মার্ট থাই স্পা, গুলশান থানা মামলা নং ১০ ধারা ১১/১২/১৩/৭ মানব পাচার প্রতিরোধ দমন আইনের তারিখ ৮/৬/২০২১গুলশান, সাার্কেল রোড নং ৪১, ইউজ নং ৭/এ সিটি থাই (২য় তল) এবং আর এম সেন্টা (৪র্থ তলা), যার মালিক কুদ্দুস, ও সড়ক ২৪, হাইজ নং১৯/বি, (৪র্থ তলা যার মালিক শাওন।

এদিকে গুলশান ১ এর ১৩০ নং সড়কের ২৮ নং বাড়ীর ২য় তলায় ইভা এবং নিচ তলায় তাহের হোসেন পাপু নামের একটি নারী চক্র নির্বিগ্নে চালিয়ে আসছে এসব কর্মকান্ড। এসব প্রতিষ্ঠানে রয়েছে অত্যাধুনিক সয়ংক্রিয় অটোমেটিক লক সিস্টেম সুসজ্জিত ১০টি ক্যামেরা, যেখানে সুন্দরী যুবতিরা অর্থের বিনিময়ে প্রতি নিয়ত অসংখ্য খরিদ্দারের কামনার তৃপ্তির খোরাক মেটাতে সজ্জাসঙ্গী হচ্ছে।

এ সকল অবৈধ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটছে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে নৃসংসভাবে মানুষ খুন হচ্ছে। যারা তাদের কথামত কাজ করতে অপরাগতা প্রকাশ করে তাদেরকে গুম করে দেয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।

অন্যদিকে গোপন ক্যামেরার সাহায্যে ডিজিটাল ব্ল্যাকমেইলিং হয়রানির মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই কুচক্রী মহল। কথিত স্পা সেন্টারের অন্তরালে চলছে ভয়ংকর মাদক দ্রব্য স্মাগলিং চোরা কারবারী আর সুন্দরী যুবতি রমনিদের দেহ বিক্রি ব্যবসা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, এইসব স্পা সেন্টারে প্রতিদিন সন্ধার পর সব ভয়ংকর প্রকৃতির লোকের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। এমনকি প্রশাসনের কতিপয় অফিসার ও সেখানে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে এবং অশ্লীল কর্মকান্ডে তারাও জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ রয়েছে এক স্থানীয় এলাকাবাসী দাবি গুলোর সাথে ওসি সাহেব নিজে জড়িত আছেন বলে জানা যায় এবং রত্না সুলতানা ও আয়শা সিদ্দিকা লাবনীর,তাহের হোসেন পাপু,আবুল হোসেন শাওন,বাহার,মমতাজ আক্তার হাসি,নুরুল ইসলাম, নামে গুলশান থানায় একাধিক মামলা রয়েছে ।

এই বিষয়ে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কামকতা ( ওসি) মাজারুল ইসলাম বলেন, এসবের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিনিয়ত অভিযান চলছে। আমরা এগুলো বন্ধ করার চেষ্টা করতেছি।


দেহ ব্যবসা, গুলশান, বনানী, অনৈতিক কারবার, নিষিদ্ধ ব্যবসা, বাংলা সংবাদ, পুলিশ, বিউটি পার্লার