ঢাকা শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১

গুলশানে স্পার আড়ালে রতনা ও এনায়েতের দেহ ও মাদক ব্যবসা


২৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:২৯

সংগৃহিত

রাজধানী জুড়ে চলছে স্পার অন্তরালে মধুকুঞ্জের বাণিজ্য। অসামাজিক কাজ চললেও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সবকিছু জেনেও না জানার ভান করে তাদের যথাযথ দায়ীত্ব পালনে উদাসিনতা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এক শ্রেণির মুনাফালোভী বিল্ডিং মালিকরা স্পার সেন্টারের নামে ভাড়াটিয়াদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা অগ্রিম নিয়ে মাসে ভাড়া নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। তাদের নিরবতা প্রমাণ করে সমাজ ও জাতি নষ্ট হয়ে যাক। তা নাহলে গুলশানের মত স্পর্সকাতর এলাকায় কিভাবে তারা এ ধরনের জঘন্য গর্হিত কর্মকান্ড চালাতে সাহস পাচ্ছে। অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য সমাজে স্পার অন্তরালে বেশ্যা বৃত্তির কাজে ভীড় জমাচ্ছে হুটি কয়েক ব্যক্তি মানুষকে পাপাচারে লিপ্ত করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। রাজধানীর ডিপ্লোমেটিক জোন কুটনীতিক পাড়া গুলশান হেয়ার কাটিং সেলুন বিউটি পার্লার স্পা সেন্টারের নেপথ্যে চলছে জমজমাট মাদক ও দেহ ব্যবসা। সাথে ভয়ংকর অপরাধমূলক কর্মকান্ড। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবক্ষয়ের কারনে অনেকটা প্রকশ্যেই নীতিহীন ঘৃনীত পাপাচারী দেহ ব্যবসা চলছে। সাথে নানান মাদক দ্রব্যে সয়লাভ করে দিচ্ছে শহর। স্থানীয় থানা পুলিশের নাকের ডগার উপরে কি করে এসব অনৈুতক কর্মকান্ড চলছে তা সকলের বোধগম্য নয়। তবুও এক শ্রেণীর নরপশু টাকার লোভে ব্যবসার নামে জঘন্য দেহ ব্যবসায় লিপ্ত হয়ে নষ্ট করছে সমাজ। মাদক নারী দিয়ে ফাঁদ পেতে মওকা হাসিল করছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে। গুলশানে প্রায় প্রতিটি সড়কে তারা একটা ট্রেড লাইসেন্স আর বাড়ী ভাড়া নিয়ে বিউটি পার্লার অথবা হেয়ার কাটিং সেলুন অথবা স্পা সেন্টার খুলে নির্বিঘ্নে মাদক বিক্রি ও দেহপসারিনির পতিতা বৃত্তি করছে। দেহ ব্যবসা ফাদে ফেলে মানুষকে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। আর এই চক্রের অন্যতম সদস্য হচ্ছে রত্না ও তার প্রধান সহযোগী এনায়েত।

এসব প্রতিষ্ঠানে রয়েছে অত্যাধুনিক সয়ংক্রিয় অটোমেটিক লক সিস্টেম সু—সজ্জিত ১০টি ক্যামেরা, যেখানে অত্যান্ত সুন্দরী যুবতি রমনিরা অর্থের বিনিময়ে প্রতি নিয়ত অসংখ্য খরিদ্দারের কামনার তৃপ্তির খোরাক মেটাতে সজ্জাসঙ্গী হচ্ছে।

এ সকল অবৈধ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটছে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে নৃসংসভাবে মানুষ খুন হচ্ছে। যারা তাদের কথামত কাজ করতে অপরাগতা প্রকাশ করে তাদেরকে গুম করে দেয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।

অন্যদিকে গোপন ক্যামেরার সাহায্যে ডিজিটাল ব্ল্যাকমেইলিং হয়রানির মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই কু—চক্রী মহল। কথিত স্পা সেন্টারের অন্তরালে চলছে ভয়ংকর মাদক দ্রব্য স্মাগলিং চোরা কারবারী আর সুন্দরী যুবতি রমনিদের দেহ বিক্রি ব্যবসা। পাশ্চাত্য স্টাইলে সবচেয়ে নোংড়া ও নিকৃষ্ট পাপাচার, তারা অবৈধ যৌনতার বিষ বাস্প ছড়িয়ে দিয়ে সমাজকে প্রতিনিয়ত ধ্বংসের দিকে ধাবিত করছে।