ঢাকা মঙ্গলবার, ৬ই মে ২০২৫, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩২

শাহজালালে স্বর্ণ পাচারে জড়িত যাত্রী এবং স্টাফকে আটক করেছে এপিবিএন


১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০২:১৬

ছবি সংগৃহীত

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বর্ণ পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে বিমানবন্দরে কর্মরত এক কফিশপ স্টাফ এবং যাত্রীকে আটক করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন। এসময় তাদের কাছে ০৫ পিস গোল্ডবার এবং ৯৯ গ্রাম স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়।

এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের এডিশনাল এসপি মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, আজ সকালে ইকে ৫৮২ ফ্লাইটযোগে বেলায়েত মোল্লা ঢাকায় অবতরন করেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যাত্রী বেলায়েত বিমান থেকে নামার পর থেকেই নজরে রাখছিল এপিবিএন। এ সময় তিনি আগমনী ইমিগ্রেশনে না গিয়ে উপরে ডিপার্চার এলাকায় প্যাসঞ্জার ওয়েটিং এলাকায় ঘোরাফেরা করেন। ফোনে যোগাযোগ করেন এরোস নামের কফিশপের স্টাফ জাভেদের সাথে। যাত্রী বেলায়েত সাথে থাকা গোল্ডবারগুলি জাভেদকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বের করে নেয়ার জন্য হ্যান্ড ওভার করার পর এরাইভাল ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম শুরু করেন। কফিশপ এরোসের স্টাফ জাভেদ এ সময় গোল্ডবার গুলি নিয়ে বের হবার চেষ্টা করলে কাস্টমস চ্যানেলের পর বেলা ১২টায় তাকে আটক করে এয়ারপোর্ট এপিবিএন গোয়েন্দা দল। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে স্বর্ণ পাচার চেষ্টায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং যাত্রীর পরিচয়ও নিশ্চিত করে। পরে যাত্রীও কাস্টমস গ্রীন চ্যানেল অতিক্রম করলে তাকে আটক করা হয়। এসময় দুজনেই যোগসাজশে স্বর্ণ পাচারের চেষ্টার কথা স্বীকার করেন।

পরবর্তীতে তাদেরকে তল্লাশী করে ০৫ টি গোল্ডবার এবং ৯৯ গ্রাম স্বর্ণালংকার সহ মোট ৬৭৯ স্বর্ণ পাওয়া যায়। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৫৩ লক্ষ টাকা। জাভেদ জানান প্রতিটি গোল্ডবার পাচারে সহায়তায় তিনি ০৫ হাজার টাকা করে পাওয়ার কথা। যাত্রী বেলায়েত মোল্লার পাসপোর্ট পরীক্ষা করে দেখা যায় তিনি একজন ফ্রিকোয়েন্ট ফ্লায়ার। প্রতিমাসেই তার দুবাই যাওয়া আসার প্রমাণ পাওয়া যায়। যাত্রী বেলায়েত মাদারীপুরের কালকিনির এবং কফিশপ স্টাফ জাভেদ ঢাকার মিরপুরের অধিবাসী। উভয়ের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।