ঢাকা মঙ্গলবার, ৬ই মে ২০২৫, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩২

আইনী সহায়তা চাওয়া নারীকে অনৈতিক প্রস্তাব ওসির


২৭ মার্চ ২০২৩ ১৯:১৫

সংগৃহিত

ওসির নিকট আইনী সহায়তা চাইতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নারী। ওসির একান্তে সময় কাটানোর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নাজেহালও করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন ( ক্র্যাব) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

এ ঘটনায় ওসির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, জমি নিয়ে আদালতে তাদের একটি মামলা বাচারাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে মোংলা থানার ওসি মনিরুল ইসলামের কাছে গেলে তিনি উপকারের বদলে আমার দিকে কুনজর দেন। এমনকি আমার শরীরেও হাত দিতে কুন্ঠা বোধ করেননি। পাশাপাশি আমাকে উপকার করার কথা বলে থানার তিন তলায় একা সাক্ষাত করতে বলেন। তার এই অনৈতিক ডাকে সাড়া না দেওয়ায় আমাকে ও আমার পরিবারের লোকদের নানাভাবে হয়রানী করছেন। শুধু পুলিশই নয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোক পাঠাচ্ছেন আমার বাড়িতে। প্রায় প্রতিদিনই পুলিশ এসে আমাদের বাড়িতে বিরক্ত করছে। আমাদের প্রতিপক্ষের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে আমাদের বসতবাড়ি দখলের চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ তার ।

লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, আমার শশুর মো. ইউছুফ হাওলাদার বাদি হয়ে প্রতিপক্ষ কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে বাগেরহাট ২য় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা নং দেও: ২৪/২০২২ দলিল বাতিলের একটি মামলা করেন। এ মামলায় ইস্যুতে বিবাদী কামালের হোসেনের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ওসি মনিরুলের নির্দেশে তার লোকজন আমাদের বাড়িঘর ভাঙচুর, বাড়ি দখলের চেষ্টাসহ নানাভাবে হয়রানী করছে।

তিনি বলেন, গতবছর ১১ ডিসেম্বর সকালে তদন্তের নামে ওসি মনিরুল আমাদের বাসায় এসে একাই গেটের ভিতরে প্রবেশ করে। আমাকে এসে বলে -তোমার বয়স এতো কম। এক পর্যায়ে সে আমার হাত ধরে এবং পিঠের উপর তার হাত রাখে। এতে আমি ইতস্তত বোধ করলে সে আমার কাছে হোয়াটস অ্যাপ নাম্বার চায়। কোন হোয়াইটস অ্যাপ নাম্বার নেই জানালে থানার তিন তলায় তার রুমে একা একা দেখা করতে বলে। দেখা করলে সব সমস্যার সমাধান করে দেয়ার আশ্বাস দেয়। এসব কথাবার্তার এক পর্যায়ে অন্যান্য পুলিশ ও লোকজন এসে পড়লে সে সাথে সাথে তার আচরন পরিবর্তন করে ফেলে। এ ঘটনার পর থেকে ওসি আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। জমি ইস্যুতে সে প্রায় সময়ই আমাদের কাছে পুলিশ পাঠিয়ে মানুষিক যন্ত্রণাসহ নানা হয়রানী করে আসছে। এরপর থেকে আমার স্বামী মোজাম্মেল হোসেন হিমেল মানুষিক অসুস্থ হয়ে ব্রেন স্ট্রোক করেন। বর্তমানে ওসির লোকজন আমাদের বসতবাড়িটি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় আপনাদের মাধ্যমে আমাদের বসতবাড়ি রক্ষা ও পুলিশ কর্মকর্তার এহেন কর্মকান্ড খতিয়ে দেখে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপিসহ সংশ্লিষ্টদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে ওসি মনিরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন।

তিনি বলেন, এগুলো তাদের মনগড়া অভিযোগ।