ধামরাইয়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা

ঢাকার ধামরাইয়ে দাম্পত্য কলহের জের ধরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর স্বামী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। এঘটনার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের সিলেটপাড়া এলাকার নিজ বাড়ির কক্ষ থেকে ওই দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত পেশায় রাজমিস্ত্রী মো. জুয়েলে (২৫) ধামরাইয়ে সিলেটপাড়া এলাকার মনছুর ফকিরের ছেলে ও তার স্ত্রী নিহত রুমি খাতুন (১৮) একই উপজেলার চৌহাট ইউনিয়নের জসিম উদ্দিনের মেয়ে।
নিহত জুয়েলের বোন মুক্তা জানায়, দুই বছর পূর্বে রুমা খাতুনের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় তার ভাই জুয়েলের। সম্প্রতি বাড়িতে বন্যার পানি উঠে যাওয়ায় স্ত্রীকে শ্বশুড় বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় জুয়েল। পরে এরপর বন্যার পানি নেমে গেলেও দাম্পত্য কলহের জের ধরে স্ত্রী না আসতে চাইলেও গতকাল রাত ৯টার দিকে জুয়েল তার স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে আসে। এসময় সব ঠিক থাকলেও ভোর রাতের দিকে জুয়েলের কক্ষ থেকে গোঙ্গানির আওয়াজ পায় পরিবারের সদস্যরা। পরে দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ কক্ষে প্রবেশ বিছানার উপর স্ত্রী রুমিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এসময় অসুস্থ্য অবস্থায় জুয়েলকে আশুলিয়ার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।
তবে কি কারণে তার ভাই ও ভাবী আত্মহত্যা করেছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারেননি তিনি।
এব্যাপারে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর স্বামী কক্ষে থাকা কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ স্ত্রী রুমির গলায় আঙ্গুলের ছাপ পাওয়া গেছে। তবে ময়নাতদন্তের পরই ওই দম্পতির মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হবে। এঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।