ঢাকা বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১১ই বৈশাখ ১৪৩১


আগাম ইরি-বোরো ধান চাষে ব্যস্ত কৃষকরা


৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:৫৬

ছবি সংগৃহীত

রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চলের জমিগুলোতে বর্ষা শুরুর আগেই ধান ঘরে তোলতে কৃষকরা আগাম ইরি-বোরো ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

চলতি বোরো মৌসুমের শুরুতেই শীত উপেক্ষা করে বীজতলা থেকে বীজের চারা সংগ্রহ করে জমিতে ধানের চারা রোপন করায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। আবহাওয়ার অনুকুল থাকলে এবছরও বাম্পার ফলনের আশা করছে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ।

রাজশাহীর বাগমারার কৃষক নারায়ন সরকার বলেন, একদিকে ধানের উৎপাদন খরচ বেশি হলেো অন্যদিকে ধানের দামও বাজারে বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আগাম ৫ বিঘা জমি ধান চাষ করেছি। ধান রোপনের ৩ সপ্তাহ হয়েছে। এবার তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছেন। চারা রোপণ পর্যন্ত প্রতি বিঘায় তার খরচ পড়বে প্রায় ১০ হাজার টাকার মতো। এরপর জমিতে সার দেয়া, নিড়ানি, ধান কাটা ও মাড়াই রয়েছে। সাথে রয়েছে ডিজেল চালিত ইঞ্জিনে সেচ দেয়া।

মোহনপুর উপজেলার আব্দুর রশিদ বলেন, এবার গত বছরের তুলনায় প্রতি বিঘাতে খরচ বাড়বে ২ হাজার টাকার বেশি। শ্রমিক খরচ আগে ছিল ৩৫০ টাকা। এবার তা হয়ে গেছে ৫০০ টাকার বেশি।

গোদাগাড়ী উপজেলার আলোকছত্র গ্রামের কৃষক আনসার আলী বলেন, তিনি এবার ১৫ বিঘায় ধান লাগিয়েছেন। আগাম রোপন করায় ধানের গাছ সুন্দর হয়েছে। আশা করছি বৈশাখী টান্ডবে আগেই ধান ঘরে তুলতে পারবো।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে রাজশাহী জেলায় প্রায় ৬৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তানোর উপজেলার চান্দুড়িয়া গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, এবার ৪ বিঘা জমিতে আগাম বোরোর আবাদ করেছেন। প্রতি বিঘায় ধানের চারা রোপণ পর্যন্ত তাঁর খরচ হয়েছে সাড়ে ৯ হতে ১০ হাজার টাকা।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোছাঃ উম্মে ছালমা বলেন, বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে আরও সময় লাগবে। অনেকের খেতে এখনো আলু রয়ে গেছে। তাঁরা আলু তুলে বোরোর চারা রোপণ করবেন। ডিজেলের দাম বাড়ায় কিছুটা খরচ বেড়েছে। তবে সারের দাম বাড়েনি। সরকার কৃষিতে পর্যাপ্ত ভর্তুকি দিচ্ছে। আর কৃষকও নানা উন্নত কৃষি উপকরণ সহজলভ্যে পাচ্ছেন।