ঢাকা শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৮ই বৈশাখ ১৪৩১

বন্ধ হতে যাচ্ছে টিকটক!


১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:৩১

সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপ টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞার দাবি উঠেছে ভারতে। এবার বাংলাদেশেও এই টিকটক বন্ধের দাবী উঠেছে। সিনেমার জনপ্রিয় গান বা ডায়ালগের একাংশ, কারোও বক্তব্যের সঙ্গে ঠোঁট মিলিয়ে ভিডিও তৈরির এই অ্যাপ নিয়ে আরও কয়েকটি দেশে সমালোচনা রয়েছে।

অনেকে মনে করছেন, এই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপটির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে অশ্লীল কন্টেন্ট। বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্যাঙ্গাতক ভিডিও, অসুস্থ মানসিকতা।

সরকার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেসব প্ল্যাটফর্ম বা সাইট নিজেদের সংষ্কৃতি বা জীবন-যাপনের বিরোধী সেসব সাইট বা প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার। সে হিসেবে অশ্লীল কন্টেন্ট বা বিপথগামী ওয়েবসাইট ও অ্যাপ বন্ধে সরকারের চলমান পদক্ষেপ নিরাপদ ইন্টারনেট ক্যাম্পেইন এর আওতায় আসতে পারে সমালোচিত এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি।

গত কয়েকদিনের ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সবার জন্য নিরাপদ ইন্টারনেটের লক্ষ্যে অশ্লীল কনটেন্ট, জুয়া বা বিপথগামী সাইট বন্ধে করে দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় কয়েক দফায় প্রায় সাড়ে চার হাজার পর্ন সাইটের পাশাপাশি একশর কাছাকাছি জুয়া খেলার সাইট বন্ধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে বন্ধ করা হয়েছে আরও কিছু বিপথগামী ওয়েবসাইট।

সমালোচিত এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের বিষয়ে সরকার কিছু ভাবছে কি না জানতে চাইলে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘টিকটক আসলে একটি অ্যাপ। অ্যাপ ডাউনলোড করা ঠেকানোর বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সে বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো দেখছি। কারণ আমি ডিসিশন নিলাম বন্ধ করবো, কিন্তু আমার কাছে তো হাতিয়ার থাকতে হবে, যাতে আমি এগুলো বন্ধ করতে পারি। এই জায়গাগুলো দেখা হচ্ছে।’

মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন ‘আমাদের জনগণ, নাগরিক, আমাদের সাহিত্য-সংষ্কৃতি, ইতিহাস, ধর্মের সাথে যায় না, এরকম কিছুই যাতে ইন্টারনেটে অ্যাভেইল্যাবল না হয় সেই ব্যবস্থাটি আমরা করব। আমরা একটি কথাই বলছি, আমরা নিরাপদ ইন্টারনেট চাই।’

তিনি বলেন, ‘এত বছরের আবর্জনা আমরা রাতারাতি ক্লিন করতে পারব, এটা মনে করার কারণ নাই। আমি চেষ্টা করছি এবং চেষ্টার সফলতা এসেছে। অনেকটা কমে আসছে।’

প্রসঙ্গত, ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ থেকে ১৫শ’র বেশি পর্ন ও অনলাইনে জুয়া (বেটিং) খেলার ওয়েবসাইট বন্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) এক নির্দেশনায় রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত এসব ওয়েবসাইট বন্ধ করা হয়। চলতি মাসের ৬ তারিখ এ ধরনের ২৪৪টি সাইট ব্লক করার জন্য ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছিল বিটিআরসি।