ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০

ভ্রাম্যমাণ কম্পিউটার প্রশিক্ষণে আশার আলো


৫ জানুয়ারী ২০২৩ ২৩:৪২

ছবি সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশে রূপান্তর করতে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষিত বেকারদের মধ্যে নতুন চেতনা আনতেই এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার।

এই উদ্যোগ গ্রামের অবহেলিত যুব সমাজের বেকার সমস্যা দূরসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা রাখবে। উল্লেখ্য, যুব উন্নয়ন অধিদফতরের অধীনে ‘টেকনোলজি এমপাওয়ারমেন্ট সেন্টার অন হুইলস ফর আন্ডারপ্রিভিলেজড রুরাল ইয়ং পিপল অফ বাংলাদেশ (টেকাব- ২য় পর্যায়)’ শীর্ষক কারিগরি সহায়তায় রাজশাহী বিভাগের ৬২ উপজেলায় ১০৬০ জন শিক্ষিত যুবক-যুবতীরা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ পাবেন।

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বেকার যুবক ও নারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ, স্বাবলম্বী ও আত্মকর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর। গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে থেকে আগত বেকার যুবক ছেলে মেয়েরা এমএস অফিস, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ইন্টারনেট আউট সাইডসহ নানা ধরনের প্রোগ্রাম শেখানো হচ্ছে। এ ছাড়া প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা এ সনদ দেখিয়ে ব্যাংক থেকে অল্প সুদে ঋণও তুলতে পারবেন, যা দিয়ে গ্রামের অবহেলিত যুবসমাজের বেকার সমস্যা দূরসহ প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা রাখবে। এতে আশার আলো দেখছে বেকার শিক্ষিত ছেলে মেয়েরা।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) রবিবার সকালে মোহনপুর উপজেলায় এ ভ্রাম্যমান বাসের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন ৫৪,রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ আয়েন উদ্দিন । তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের মনোযোগ সহকারে প্রশিক্ষণ গ্রহণের আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা ফাতেমাতুজ্-জোহ্‌রা, সহকারী কমিশনার ভূমি প্রিয়াংকা দাস, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সানজিতা আক্তার রিক্তা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো: রকনুজ্জামান তালুকদার রাজশাহী বিভাগীয় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের তথ্য মতে, সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত বাদে রাজশাহী বিভাগের ৬২ উপজেলায় ১০৬০ জন শিক্ষিত যুবক-যুবতীরা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ পাবেন। প্রতিটি উপজেলায় ৪০ জন করে শিক্ষার্থীর তালিকা করে এক মাস মেয়াদি কোর্স হিসাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এটি। বাসের ভেতরে আসনের সামনে একটি করে রয়েছে কম্পিউটার। সেই কম্পিউটারে বসেই শিক্ষিত যুবক-যুবতীরা নিচ্ছে প্রশিক্ষণ। এমন দৃশ্য চোখে পড়বে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা চত্বরের যুব উন্নয়ন অফিসের সামনে। প্রধানমন্ত্রীর ২০২১ ভিশন ও ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশে রূপান্তর করতে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের মধ্যে নতুন সূচনা আনতেই এমন উদ্যোগ।

মোহনপুর উপজেলার কম্পিউটার প্রশিক্ষণার্থী স্বপন কুমার, রনি, শামীম, মক্তিার কাজী বলেন, যুব উন্নয়নের এমন উদ্যোগে খুশি আমরা। বিনা পয়সায় কম্পিউটারের প্রশিক্ষণ পাচ্ছি। প্রশিক্ষণ শেষে সনদসহ বিভিন্ন উপকরণ দেওয়া পাবো। পাশাপাশি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর হবে বলেও আশা তাদের।

কম্পিউটার প্রশিক্ষক রাসেল হেুাসাইন বলেন, সরকার যুব উন্নয়ন অধিদফতরের মাধ্যমে শিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। এতে পিছিয়ে পড়া তরুণ-তরুণীরা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তিতে পারদর্শী হওয়াসহ সাবলম্বী হতে পারবেন। তিনি আরো জানান, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরাধীন 'টেকনোলজি এমপাওয়ারমেন্ট সেন্টার অন হুইলস ফর আন্ডারপ্রিভিলেজড রুরাল ইয়ং পিপল অফ বাংলাদেশ (টেকাব- ২য় পর্যায়)' শীর্ষক কারিগরি সহায়তায় এ ভ্রাম্যমাণ কম্পিউটার বাসে ২ মাস ব্যাপী চারটি শিফটে ৪০ জন নারী-পুরুষকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত এ প্রশিক্ষণ চলবে।

মোহনপুর উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো: রকনুজ্জামান তালুকদার জানান, প্রশিক্ষণের সার্কুলার প্রকাশের পর প্রশিক্ষণার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা কমিটি ভাইবার মাধ্যমে ২০ যুবক ও ২০ যুবতীকে নির্বাচন করেছেন। উপজেলা কমিটির দেয়া তালিকায় ধরে ২০ জন মেয়ে ও ২০ জন ছেলে এ প্রশিক্ষণে আওতায় নেয়া হয়। তিনি আরো জানান, প্রশিক্ষণের পরে তাদের একটি সনদ দেওয়া হয়। এ সনদের মান প্রায় ৬ মাসের ডিপ্লোমা কোর্সের মত। যে কোন সরকারি বেসরকারি চাকুরীতে তারা এ সনদ দিয়ে আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরা এ সনদ দেখিয়ে অল্প সুদে ঋণও তুলতে পারবে। যা দিয়ে গ্রামের অবহেলিত যুব সমাজের বেকার সমস্যা দূরসহ প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

রাজশাহী যুব উন্নয়ন অধিদফতরের উপপরিচালক এ.টি.এম. গোলাম মাহবুব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশে রূপান্তর করতে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষিতদের মধ্যে নতুন চেতনা আনতেই এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই উদ্যোগ গ্রামের অবহেলিত যুব সমাজের বেকার সমস্যা দূরসহ প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা রাখবে। উল্লেখ্য, যুব উন্নয়ন অধিদফতরের অধীনে ‘টেকনোলজি এমপাওয়ারমেন্ট সেন্টার অন হুইলস ফর আন্ডারপ্রিভিলেজড রুরাল ইয়ং পিপল অফ বাংলাদেশ (টেকাব- ২য় পর্যায়)’ শীর্ষক কারিগরি সহায়তায় রাজশাহী বিভাগের ৬২ উপজেলায় ১০৬০ জন শিক্ষিত যুবক-যুবতীরা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ পাবেন।