অবিশ্বাস্য রেকর্ড গড়ে যা বললেন সাকিব

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ৫০০ থেকে মাত্র ২ উইকেট দূরে থেকে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) খেলতে গিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। প্রথম ম্যাচে এক উইকেট পাওয়ার পর শুরু হয় মাইলফলক স্পর্শের অপেক্ষা। তবে পর্যাপ্ত বোলিং না পাওয়ায় এবারের আসরে খেলা নিজের প্রথম পাঁচ ম্যাচে বিশেষ এই চূড়ায় পৌঁছাতে পারেননি তিনি। অবশেষে ষষ্ঠ ম্যাচে চমৎকার বোলিংয়ে ইতিহাসগড়া মাইলফলক স্পর্শ করলেন এই অলরাউন্ডার।
সেইন্ট কিটস এন্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের বিপক্ষে রোববার ২ ওভারে মাত্র ১১ রান খরচ করে ৩ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। এর মধ্যে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ফিরতি ক্যাচ নিয়ে ৫০০ উইকেট পূর্ণ করেন তিনি। পরে আরও ২ শিকার ধরে তার উইকেটসংখ্যা এখন ৫০২। ম্যাচ শেষে সাকিব জানিয়েছেন, কঠোর পরিশ্রমের পর এই অর্জনে খুব খুশি তিনি।
টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে প্রথম বাঁহাতি বোলার হিসেবে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন সাকিব। আর বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এই ফরম্যাটে তিনি ৫০০ উইকেট ও ৭ হাজার রানের অনন্য এক 'ডাবল' পূরণ করেছেন। এত সব অর্জনের পর ইনিংস বিরতিতে ব্রডকাস্টারে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানান সাকিব।
আসরের প্রথম পাঁচ ম্যাচ মিলিয়ে চার ইনিংসে মাত্র ৫ ওভার বোলিংয়ের সুযোগ পান সাকিব। যেখানে নিতে পারেন শুধু ১ উইকেট। তাই ক্রমেই বাড়তে থাকে ৫০০ উইকেটের অপেক্ষা। সাকিব বলেন, ‘এই অর্জনের পেছনে অনেক কঠোর পরিশ্রম রয়েছে। মাইলফলক স্পর্শ করতে পেরে আমি খুব খুশি। অনেক লম্বা ক্যারিয়ার... যা অর্জন করতে পেরেছি, আমি খুশি।’
দলের জন্য অবদান রাখার জন্য সুযোগ পাওয়ার অপেক্ষায় থাকেন জানিয়ে সাকিব বলেন, ‘গত কয়েক ম্যাচে আমি বেশি বোলিং করতে পারিনি। তাই কিছুটা নার্ভাস ছিলাম। পাশাপাশি খুব বেশি ওভার বোলিং না পাওয়ায় কিছুটা নেতিবাচকতাও কাজ করছিল। কারণ সাধারণত আমি আরও বেশি বোলিং করি। তবে এটা পুরোটা দলের জন্য। যখনই আমার সুযোগ আসবে, অবদান রাখার চেষ্টা করব।’
সাকিবের সঙ্গে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে আছে তার পরিবারের সদস্যরাও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিতই স্ত্রী ও তিন সন্তানের সঙ্গে ছবি পোস্ট করছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। তার মতে, পরিবার কাছে থাকলে অনেক কিছু সহজ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে সাকিব বলেন, ‘পরিবার সবসময়ই আমার সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় যেত। তবে তিন সন্তান নিয়ে... তাদের স্কুলের কারণে কঠিন হয়ে গেছে। তাদের এখন গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলছে। তাই এখানে এসে থাকতে পারছে। তো এটি ভালো ব্যাপার। যখন বয়স বাড়তে থাকে, তখন পরিবার পাশে থাকলে অনেক স্বস্তি কাজ করে।’