ঢাকা মঙ্গলবার, ১২ই আগস্ট ২০২৫, ২৯শে শ্রাবণ ১৪৩২


১৯ এর জবাব ২৩ এ দিল নিউজিল্যান্ড


৫ অক্টোবর ২০২৩ ২২:৫০

ছবি সংগৃহীত

জয় দিয়ে শুরু বিশ্বকাপের নতুন যাত্রা। ২০২৩ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারাল কিউইরা। ফিরে যাই ২০১৯ এ লর্ডসের সেই দিনটা মনে আছে তো? ওয়ানডে বিশ্বকাপের ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের সেই অবিশ্বাস্য ফাইনাল! যেদিন সুপার ওভারে যাওয়া ম্যাচটা ইংল্যান্ড শেষ পর্যন্ত জিতেছে বাউন্ডারির হিসাবে। বিশ্বকাপের সেরা ফাইনাল তো বটেই, তর্কযোগ্যভাবে ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসেরই সেরা ম্যাচ। 

সেদিন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ ‘টাই’, সুপার ওভার ‘টাই’—তারপরও হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল নিউজিল্যান্ডকে। বিশ্বকাপ ফাইনালে হেরে যাওয়াই যথেষ্ট বেদনার আর হার যদি এমন হয়, তাহলে তো সেটি মাত্রা ছাড়িয়ে যেতে চায়। চার বছর আগে আরও একটি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে পরাজয় যোগ হওয়ায় নিউজিল্যান্ডের জন্য বিশ্বকাপের অন্য নাম হয়ে যায় দুঃখ। আরও একটি ওয়ানডে বিশ্বকাপের শুরু তবে ১৯ জবাব ২৩ দিয়ে দিল নিউজিল্যান্ড। জয় দিয়ে ২০২৩ বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করল নিউজিল্যান্ড। এক ম্যাচে কয়েকটি নজির গড়ে ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্র দুজনেই সেঞ্চুরি করেছেন। ফলে ৮২ বল এবং ৯ উইকেট হাতে রেখেই বিশাল জয় পেয়েছে কিউইরা।

চার বছর আগে লন্ডনে জুলাইয়ের ওই দিন দুই দলকে নিয়ে গেছে ওয়ানডে ইতিহাসের লোকগাথায়। তর্ক সাপেক্ষে ইতিহাসের সেরা ওয়ানডেটি সেদিন খেলেছিল ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড, তা–ও আবার বিশ্বকাপ ফাইনালে। গত চার বছরে তিন সংস্করণ মিলিয়ে দুই দল খেলেছে ২৪টি ম্যাচ, সেই ম্যাচটির কথা ঘুরেফিরেই এসেছে। এ ম্যাচের আগে আসছে আরও বেশি করে। গত বিশ্বকাপ শেষ হয়েছিল যে দুই দলের ম্যাচ দিয়ে, এবারের বিশ্বকাপ আজ আহমেদাবাদে শুরু হচ্ছে তাদের দিয়েই।

এ চার বছরে ওয়ানডে ক্রিকেটটা কেমন আড়ালে চলে গেছে। মরগান অবসরে গেছেন। কিন্তু সেসব পেছনে ফেলে আজ আবার শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ-রোমাঞ্চ। এবারের বিশ্বকাপেও ইংল্যান্ড ফেবারিট দলগুলোর একটি, চ্যাম্পিয়ন দলকে সে কাতারে তো ফেলতেই হয়! কিন্তু গতবার রানার্সআপ হলেও নিউজিল্যান্ড আবারও নামছে ওই ‘ডার্কহর্স’ তকমা গায়ে মেখেই। তবে সেসব নিয়ে দুই দলের অধিনায়কের কেউই ভাবছেন না। ওয়ানডে বিশ্বকাপে বরাবরই বড় প্রত্যাশা নিয়ে আসে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু কখনোই প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তি মেলাতে পারেনি। ২০১৫ সালের আগ পর্যন্ত ওয়ানডে বিশ্বকাপে ছয়বার সেমিফাইনাল খেলেছে কিউইরা। ফাইনালে খেলার আক্ষেপ সঙ্গী হয়ে ফিরত তাদের।

বিশ্বকাপজুড়ে রানের জোয়ার তৈরির আভাস মিলেছিল প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে। যেখানে প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই তিনশ রানের অধিক দলীয় সংগ্রহ এসেছিল। সেই তুলনায় বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে কম সংগ্রহ-ই পেয়েছিল ইংল্যান্ড। তাদের দেওয়া ২৮২ রানের জবাবে কোনো পাত্তাই দেয়নি নিউজিল্যান্ড ব্যাটাররা। ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্রর অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটের দাপুটে জয়ে আসর শুরু করলো কিউইরা।

আজ বৃহস্পতিবার ভারতের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রান করে ইংল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৭ রান করেন সাবেক অধিনায়ক জো রুট।  টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১০ রানে প্রথম উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। এরপর রাচিন রবিন্দ্রকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ২১১ বলে ২৭৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ৮২ বল আগেই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন ডেভন কনওয়ে। 

নিউজিল্যান্ডের ৯ উইকেটের বিশাল জয়ে ১২১ বলে ১৯টি চার আর ৩টি ছক্বার সাহায্যে ১৫২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন ডেভন কনওয়ে। ৯৬ বলে ১১টি চার আর ৫টি ছক্কার সাহায্যে ১২৩ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন রাচিন রবিন্দ্র।