ঢাকা মঙ্গলবার, ১২ই আগস্ট ২০২৫, ২৮শে শ্রাবণ ১৪৩২


ঝড়-তুফান থেকে বাঁচার দোয়া


৩ মে ২০১৯ ০০:১২

আরও শক্তিশালী হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের অবস্থান করছে ‘ফণী’। মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে। তাছাড়া চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া ফণীর কারণে দেশের সব নদীবন্দরে নৌযান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণি শুক্রবার বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এক বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে শুক্রবার সকাল থেকে ফণি খুলনা ও তৎসংলগ্ন জেলার পূর্বাঞ্চলে প্রভাব ফেলতে পারে। সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়টি দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলাগুলোতে আঘাত হানতে পারে।

এমতাবস্থায় সচেতন থাকার জন্য আমাদের সর্বদা চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। মাথা ঠাণ্ডা রেখে বিপদের মোকাবিলা করতে হবে।

আল্লাহ তা’আলা তার প্রিয় বান্দাদের পরীক্ষা করার জন্য পৃথিবীতে নানা রকম আপদ-বিপদ, বালা মুসিবত দিয়ে থাকেন। সব রকম বিপদ-আপদ থেকে বাঁচার জন্য কুরআন ও হাদিসে নানা দোয়া, জিকির-আজকার এসেছে।

তেমনি মেঘের গর্জন, ঝড় তুফান ও অধিক বৃষ্টির অনিষ্ট থেকে বাঁচারও দোয়া রয়েছে। আজকের প্রতিবেদনে তেমনেই কিছু দোয়া বিডি২৪লাইভের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

ঝড় তুফানের সময়ের দোয়া

اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلاَ عَلَيْنَا

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ালা আলাইনা

অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদের থেকে ফিরিয়ে নাও, আমাদের ওপর দিয়ো না। (বুখারি) ঝড়-তুফানের সময় এ দোয়া বেশি বেশি পড়তে হবে।

اللهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا، وَخَيْرَ مَا فِيهَا، وَخَيْرَ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا، وَشَرِّ مَا فِيهَا، وَشَرِّ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আস্আলুকা খায়রাহা ওয়া খায়রা মা ফিহা- ওয়া খায়রা মা উরসিলাতবিহি; ওয়া আউযুবিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা ফিহা ওয়া শাররি মা উরসিলাতবিহি।’

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট এর মঙ্গল, এর মধ্যকার মঙ্গল ও যা নিয়ে তা প্রেরিত হয়েছে, তার মঙ্গলসমূহ প্রার্থনা করছি এবং আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি এর অমঙ্গল হতে, এর মধ্যকার অমঙ্গল হতে এবং যা নিয়ে তা প্রেরিত হয়েছে, তার অমঙ্গলসমূহ হতে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত দোয়া ও আমলগুলো যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে ঝড়-তুফানসহ যাবতীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, প্রবল শক্তি সঞ্চয়কারী ফণী ঘূর্ণিঝড়টি বুধবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ১ হাজার ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

গত রোববার (২৮ এপ্রিল) ফণীর অবস্থান ছিল বাংলাদেশ থেকে দেড় হাজার কিলোমিটারের বেশি দূরে। সোমবার ছিল ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনম থেকে ১,০৯০ কিলোমিটার এবং চেন্নাইয়ের দক্ষিণ-পূর্ব থেকে ৮৮০ কিলোমিটার দূরে।

নতুনসময়/আইকে