ভাঙ্গনের সুর ২০ দলে, জোট ছাড়তে পারেন অলি-ইব্রাহীম

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের প্রধান নেত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন কারাবন্দী হওয়ার পর রাজনৈতিকভাবে অনেকটা নেতৃত্ব শূন্য হয়ে পড়ে বিএনপি। দলটি নেতৃত্বের শুন্যতা কাটিয়ে দলের চেয়ারপার্সনের মুক্তি ও নির্বাচনের লড়াইয়ে জিততে ২০ দলকে রেখেই ডঃ কামাল হোসেন, মাহমুদুর রহমান মান্না, আ স ম আব্দুর রব, কাদের সিদ্দিকির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে যোগ দেয় বিএনপি।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে বিএনপির দুঃসময়ের সাথী ২০ দলের চাইতে বেশি গুরুত্ব দেয়ায় একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে ও পড়ে ক্ষুব্ধ হতে দেখা গেছে ২০ দলের শরিক অনেক নেতাকে। শুধু ২০ দলের নেতারা নয় ডঃ কামালের নেতৃত্ব নিয়ে বিএনপির ভিতরেই ক্ষুব্ধ অনেক প্রভাবশালী নেতা। আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে বেশি গুরুত্ব দেয়ায় ভাঙ্গনের সুর বাজতে শুরু করেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে।
অবজ্ঞা, অবহেলার অভিযোগ এনে ইতিমধ্যেই বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। পার্থের ঘোষণার দেয়ার একদিন পরই জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।
জোটের ভাঙ্গন বিষয়ে ২০ দলের শরিক এক নেতা নতুন সময়কে বলেন, আমরা গত কয়েকটি বছর বিএনপির কঠিন দুঃসময়ে পাশে ছিলাম। অথচ বিএনপি গত নির্বাচনের আগে থেকে আমাদের গুরুত্ব না দিয়ে বরং অবজ্ঞা করে ঐক্যফ্রন্ট ও ডঃ কামালকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। যে কারনে শুধু এই দুই নেতা নয় আরও অনেকেই জোট ছাড়বেন।
২০ দলীয় জোট শেষ পর্যন্ত থাকছে না জানিয়ে জোটের অন্য এক শরিক নেতা জানায়, বিএনপির ভুল রাজনীতির কারনেই আজ তাদের এই দুর্দশা। তারা আমাদের ২০ দলকে গুরুত্ব না দিয়ে ডঃ কামালকে নিয়ে কত কিছু করলেন, নির্বাচনে গেলেন শেষ পর্যন্ত ফলাফল কি হয়েছে, কিছুই হয়নি। আমও গেছে ছালাও গেছে বিএনপির এখন এই দশা।
ওই নেতা জানান, যে কোন সময় ২০ দল ছাড়তে পারেন জোটের অন্যতম শরিক দল জামায়াতে ইসলামী, লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল অলি ও কল্যাণ পার্টির সভাপতি জেনারেল ইব্রাহীম সহ আরও অনেকেই। যদি শেষ পর্যন্ত তাই হয় তাহলে বিএনপি হারাচ্ছে তার দুঃসময়ের বন্ধুদের।
নতুনসময়/এনএইচ