ঢাকা শনিবার, ২৮শে জুন ২০২৫, ১৪ই আষাঢ় ১৪৩২


প্রধানমন্ত্রীকে কোনো চক্রান্তকারীরা দমিয়ে রাখতে পারেনি: তথ্যমন্ত্রী


১৮ মে ২০১৯ ০৪:০৩

ছবি: নতুনসময়

বাংলাদেশের মানুষের ভাতের এবং ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ১৯ বার হত্যার অপচেষ্টার স্বীকার হতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার কাজে প্রধানমন্ত্রীকে দমিয়ে রাখতে পারেনি কোন চক্রান্তকারীরা বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (১৭ মে) ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউটে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে ঐতিহাসিক ১৭ই মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৯ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৮১ সালের ১৭ই মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে পদার্পণ করেছিলেন। এই ৩৮ বছরের পথ চলায় তিনি বাংলার মানুষের সাথে ছিলেন এবং আছেন।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাতের এবং ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে যেয়ে বার বার হত্যার অপচেষ্টার স্বীকার হয়েছেন। ১৯ বার তার উপর হত্যার অপচেষ্টা চালানোর পরও তিনি বিচলিত না হয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। বহু সংগ্রামের পর ২৩ জুন আওয়ামীলীগের জন্ম হয়েছিল। আওয়ামীলীগের জন্ম হয়েছিল বাংলার স্বাধীনতার সূর্যকে ফিরিয়ে আনার জন্য।

এছাড়াও তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বল্প আয়ের দেশ থেকে এখন মধ্যম আয়ের দেশ। এটি সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার মাধ্যমে। এটি বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা মানে গণতন্ত্র। শেখ হাসিনা মানে অগ্রগতি। শেখ হাসিনা মানেই প্রবৃদ্ধি। এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

মাহবুব উল হানিফ বলেন, ঐতিহাসিক ১৭ই মে বাঙালি জাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকরে ক্ষমতায় বসেন জিয়াউর রহমান। দেশে ফিরে শেখ হাসিনা বলেন, আমার লক্ষ দুইটা। এক দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং দুই দেশকে অর্থনৈতিক সম্মৃদ্ধ করা।বাংলাদেশের মানুষের আস্থার ঠিকানা শেখ হাসিনা। যারা আজ আইনের শাসনের কথা বলেন তাদের বলতে চাই তাদের নেতা জিয়া বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের দায় মুক্তি দিয়ে বিদেশে যেতে দেয়া হয়। শেখ হাসিনাকে বাড়িতে ঢুকতে দেয়া হয়নি, তারা আবার আইনের কথা বলেন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, আমির হোসেন আমু (সাবেক শিল্পমন্ত্রী), হাজী আবুল হাসনাত (ঢাকা দক্ষিণ মহানগরের সভাপতি),আব্দুর রাজ্জাক (কৃষিমন্ত্রী), এনামুল হক শামীম (সাংগঠনিক সম্পাদক ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী), খালিদ মাহমুদ (নৌ প্রতিমন্ত্রী) প্রমুখ।

নতুনসময়/আইকে