বেতন নির্ধারণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন শিক্ষকদের

২০১৩-১৪ সালে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণ, চাকরিকাল গণনা ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধার দাবি জানিয়েছে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষক মহাজোট।
সোমবার (১৩ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে মোঃ আমিনুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষক মহাজোট আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।
জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষক মহাজোটের সমন্বয়ক মোঃ আমিনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন দেশের দূর্বল অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যেও ১৯৭৩ সালে দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে ৩৬ হাজার ১৬৫টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কর্মরত শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৩ সালের ৯ জানুয়ারি ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক ও কর্মরত ১ লক্ষ ৪ হাজার ৭৭২ জন শিক্ষককে চাকরি জাতীয়করণের ঘোষণা দেন।
তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার এই সাফল্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যেনও এককভাবে ঘরে তুলতে না পারে তার জন্য ষড়যন্ত্র করছে প্রশাসনের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু সংখ্যক বিএনপি ও জামায়াত সামর্থীত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। অধিগ্রহণকৃত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক বিধিমালা এস. আর. ও-নং ৩১৫ আইন, ২০১৩ বিধি (৯) উপবিধি (১) এর ভুল ব্যাখ্যা ও অপব্যাখ্যা দিয়ে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের নানা ধরনের হয়রানি করে আসছে।
এসব হয়রানি বন্ধ না হলে পরবর্তীতে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষক মহা সমাবেশ করে কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান তারা।
এ সময় জাতীয়করণকৃত শিক্ষকদের হয়রানি বন্ধে ৮টি দাবি তুলে ধরেন তিনি,
দাবিগুলো হলো:
১. ৫০ শতাংশ চাকরিকাল গণনা করে গ্রেডেশন ও পদোন্নতি তালিকা তৈরি করা।
২. প্রধান শিক্ষকদের প্রাপ্ত টাইম স্কেলের ভিত্তিতে উন্নতী স্কেল বাস্তবায়ন করা।
৩. প্রধান শিক্ষকদের গেজেট থেকে বাদ পড়া শিক্ষকদের গেজেট সংশোধন ক্রমে প্রধান শিক্ষকদের গেজেট প্রকাশ করা।
৪. জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহের ৯৯ কোড পরিবর্তন করে ১ নং কোডে নিয়ে আসা।
৫. বর্তমান নিয়োগ বিধিতে সহকারি শিক্ষকদের নূনতম যোগ্যতা বি.এ পাস করা হয়েছে। এজন্য সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড ও মহাপরিচালক পর্যন্ত শতভাগ পদোন্নতির ব্যবস্থা করা।
৬. পি. আর. এলকৃত শিক্ষকদের আর্থিক সমস্যার সমাধান করা।
৭. জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষকদের পদ সৃষ্টি করা।
৮. জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম প্রহরী নিয়োগের ব্যবস্থা করা।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, এস, এম আব্দুল গফুর, মোঃ মাহাবুবুল আলম, শেখ আবদুস সালাম মিয়া, মোঃ মনির হোসেন প্রমুখ।
নতুনসময়/রাখি/আইআর