যুদ্ধাপরাধের ৩৮ তম রায়ের অপেক্ষমান

যুদ্ধাপরাধে মামলায় মুক্তিযদ্ধের সময় দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা (আর পি সাহা) ও তার ছেলে হত্যাকান্ডসহ তিনটি গণহত্যার অভিযোগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে যে কোন দিন রায় ঘোষণা করা হবে। গত ২৪ এপ্রিল মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রেখে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেল চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল আদেশ দেয়। এটি হবে ট্রাইব্যুনালের ৩৮ তম রায়। মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ তথা যুদ্ধাপরাধে এবার ৩৮ তম রায় অপেক্ষমান রয়েছে।
প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত। আসামি মাহবুবুর রহমানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম।
গত বছর ২৮ মার্চ এ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গত বছর আগামী ২২ এপ্রিল সূচনা বক্তব্য (ওপেনিং ষ্টেটমেনট) ও সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে মামলায় বিচার শুরু হয়। আসামির বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাজার আর্জি পেশ করে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেছে প্রসিকিউশন। আসামীর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাজার আর্জি জানিয়ে শুনানি করেন প্রসিকিউটর রানা দাস গুপ্ত।
রণদা প্রসাদ সাহার পৈত্রিক নিবাস ছিল টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে। সেখানে তিনি একাধিক শিক্ষা ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এক সময় নারায়ণগঞ্জে পাটের ব্যবসা করেন রণদা প্রসাদ সাহা। থাকতেন নারায়ণগঞ্জের খানপুরের সিরাজদিখানে। সে বাড়ি থেকেই তাকে, তার ছেলে ও অন্যান্যদের ধরে নিয়ে যায় আসামি মাহবুবুর রহমান ও তার সহযোগীরা।
নতুনসময় / আইআই