অপরাধীদের বিচার না হওয়া নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রধান কারণ

নারী শিশু নির্যাতন এত ভয়াবহ মাত্রায় আসার একটি অন্যতম ও প্রধান কারণ অপরাধীদের বিচার না হওয়া বলে মন্তব্য করেন মানববন্ধনের বক্তারা।
শুক্রবার (১০ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে যৌথ উদ্যোগে চলন্ত বাসের নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়ার গণধর্ষণকারী খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি ও সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম।
বক্তারা বলেন, ৬ মে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের স্বর্ণলতা পরিবহনের চলন্ত বাসে ইবনে সিনা হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়াকে গণধর্ষণ শেষে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। শুধু কিশোরগঞ্জের বাসে এই বর্বরতা নয়, সারাদেশেই নারী ও শিশু নির্যাতন ধর্ষণ হত্যা বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন পত্রিকা খুললেই খুন ধর্ষণ অপহরণ নির্যাতনের ঘটনা দেখা যায়। একটি নির্যাতনের ঘটনার বীভৎসতা বর্বরতা আগেরটিকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। এই মে মাসের প্রথম আট দিন এই ৪১ জন শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ১৮৯ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয় এর মধ্যে ১৫ জনকে ধর্ষণের পরে হত্যা করা হয়।
বক্তারা আরো বলেন, নারী শিশু নির্যাতন এত ভয়াবহ মাত্রায় আসার একটি অন্যতম কারণ বিচার না হওয়া। এর আগে চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর কলেজ ছাত্রী রুপা হত্যা মামলার আসামিদের ফাঁসির রায় অনুমোদনের জন্য এক বছরেরও বেশি সময় আগে হাইকোট ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হল তারপর এখনও শুনানি হয়নি। তিন বছর হয়ে গেছে তনু হত্যা মামলার চার্জশিট গঠিত হয়নি। ঝুলে আছে রিশা হত্যা মামলাও। দেখা গেছে যে মামলাগুলো নিষ্পত্তি হয়েছে তার মাত্র ৩ শতাংশের সাজা হয়েছে।
তারা দাবি জানিয়ে বলেন, এমন নৃশংস বর্বরতা সাথে যুক্ত সকল অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। যদি এসব ঘটনার বিচার হত তাহলে ধর্ষকরা ভয় পেত এবং সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হত। নারী শিশু ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বানও জানান তারা।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও নারী দলের নেত্রী লুনা নুর, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শম্পা বসু, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক জলি তালুকদার ও মহিলা ফোরামের সংগঠক সুলতানা আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।