হত্যাকাণ্ড দেখে ফেলায় আরেকজনকে হত্যা!

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় হত্যাকাণ্ড দেখে ফেলায় আসামিরা আরেক ব্যক্তিকে হত্যা করে। ২০১৬ সালের ১৪ জুন ও ৯ জুলাই কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার ভল্লবপুরে ইসলামিয়া ব্রিকফিল্ডে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা দুইটি ঘটে।
ইসলামিয়া ব্রিকফিল্ডে ২০১৬ সালের ১৪ জুন সৈয়দ জামাল নামের একজনকে শ্বাসরোধ হত্যা করে আনিস, সোহেল, শহীদ, রানা ও ফজলসহ আসামিরা। এই হত্যাকাণ্ড দেখে ফেলায় একই আসামিরা একই বছরের ৯ জুলাই গলা কেটে হত্যা করে ইসলামিয়া ব্রিকফিল্ডের দারোয়ান আবুল বাশারকে। সোমবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুমিল্লার প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওসমান গণি প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, দু'টি হত্যা মামলার তিন বছর পর প্রধান আসামি সিএনজি অটো রিকশা চালক আনিসকে গ্রেফতার করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই‘র ইন্সপেক্টর মতিউর রহমান। রবিবার জেলার মুরাদনগর উপজলার কোম্পানীগঞ্জ এলাকা থেকে আনিসকে গ্রেফতার করা হয়। ওইদিন আনিস স’মিল মিস্ত্রী সৈয়দ জামাল ও ব্রিকফিল্ডের দারোয়ান আবুল বাশার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইরফানুল হক চৌধুরীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
আনিস জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের মৃত সফিক মিয়ার ছেলে। সৈয়দ জামাল একই উপজেলার প্রতাপপুর গ্রামের মৃত খালেক হোসেনের ছেলে। দারোয়ান বাশার একই উপজেলার ভল্লবপুর গ্রামের মৃত সিদ্দিক মিয়ার ছেলে।
সৈয়দ জামালকে শ্বাসরোধ হত্যার ঘটনায় বাদী হয়ে সদর দক্ষিণ থানায় জামালের ২য় স্ত্রী শাহানা বেগম একটি মামলা দায়ের করেন। বাশারের হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে সদর দক্ষিণ থানায় আরো একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই দুটি হত্যা মামলায় শহীদ নামে আরো একজন কারাগারে রয়েছে।
ওসমান গণি আরো বলেন, আনিসের নামে খুন ও মাদক ব্যবসা ১০টি মামলা রয়েছে। ২য় হত্যার কারণ সম্পর্কে আমরা পরিস্কার ধারণা পেয়েছি। তবে প্রথম হত্যার কারণ এখনও পুরো পরিস্কার নই। এটা পারিবারিক বিরোধ বা পরকীয়ার কারণে হতে পারে। তা তৃতীয় পক্ষ ভাড়াটিয়া দিয়ে এই ঘটনা ঘটাতে পারে। আশা করি দ্রুত অন্য আসামিদের গ্রেফতার করে মামলার পুরো রহস্য উদঘাটন করতে পারবো।
নতুনসময়/আইকে