জেনেভা ক্যাম্পের মাদক ব্যবসায়ী ও মদদদাতাদের গ্রেপ্তারের দাবি

মাদক ব্যবসায়ী ও মদদদাতাদের গ্রেপ্তারসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে বিহারীদের সংগঠন ‘মহাজির রিহ্যাবিলিটেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট মুভমেন্ট।’

রবিবার (২৮ এপ্রিল) বেলা ১২.৩০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মহাজির রিহ্যাবিলিটেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট মুভমেন্টের আয়োজিত মানববন্ধনে এ ৬ দফা দাবি জানানো হয়।

এসময় বক্তারা বলেন, মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের গ্রেফতার হওয়া মাদক ব্যবসায়ীরা জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও ব্যবসা শুরু করেছে। নানা কৌশলে মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার লোকজনকেও হয়রানি করছে তারা। শুক্রবার গভীর রাতে ক্যাম্পের মাদকবিরোধী আন্দোলনের নেতা এমআরডিএম সভাপতি ওয়াশি আলম বশিরের বাসায় ঢুকে একদল সাদা পোশাকধারী লোক তছনছ করেছে। এরপর থেকে মাদকবিরোধী আন্দোলনকারীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। 

বক্তারা বলেন, মহাজির রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট মুভমেন্ট-এমআরডিএম’র সভাপতি ও ক্যাম্পের বাসিন্দা ওয়াশি আলম বশির। তার নেতৃত্বে লোকজন ক্যাম্পের মাদক বিক্রেতাদের পাকড়াও করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জিরো টলারেন্স নীতি ও স্থানীয়দের মাদকবিরোধী উদ্যোগের কারণে ক্যাম্পে মাদক ব্যবসায়ীদের তৎপরতা কমে আসে।

কিন্তু গ্রেফতার হওয়া মাদক ব্যবসায়ীরা জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও ক্যাম্পে ব্যবসা শুরু করেছে। মাদক ব্যবসায়ী ও তাদের গডফাদাররা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ভুল তথ্য দিয়ে মাদকবিরোধী আন্দোলনকারীদের হয়রানির চেষ্টা করছে।

বক্তারা বলেন, গত শুক্রবার রাত ২টার পর মাদকবিরোধী আন্দোলনের নেতা ওয়াশি আলম বশিরের বাসায় ১০-১২ জন সাদা পোশাকধারী লোক ঢুকে তছনছ করে। এ সময় তারা তাকে খোঁজাখুঁজি করে। তিনি এ সময় ওই বাসায় ছিলেন না। পরে ক্যাম্পে জানাজানি হয়ে গেলে এলাকাবাসী তাদের ঘিরে ফেলে। এ সময় মোহাম্মদপুর থানায় ফোন করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে সাদা পোশাকধারী লোকজন নিজেদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোক পরিচয় দিয়ে সেখান থেকে কেটে পড়ে। এরপর থেকে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বক্তারা মাদকবিরোধী আন্দোলনকারীদের অযথা হয়রানি না করা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

মহাজির রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট মুভমেন্ট-এমআরডিএম’র সভাপতি ওয়াশি আলম বশির এর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউএসপিওয়াইআরএম’র সভাপতি সাদাকাত খান ফাক্কু, মো. আকরাম, মো. কালিম, মো. মোজাম্মেল, আমির, নিয়াজ, নারগিস প্রমুখ।

বক্তারা আরো বলেন, পুলিশ প্রশাসনসহ ৫টি গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট থাকা স্বত্ত্বেও কেন জেনেভা ক্যাম্পের নিরীহ মানুষদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে। বক্তারা এই সকল হয়রানি বন্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ দাবি করেন।

নতুনসময়/আইকে 

---