অভিবাসীদের সঙ্গে মানবিক ব্যবহারের জায়গাটি উন্নত হবে

রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অভিবাসন ও সোনার মানুষ সম্মিলন-২০১৯ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, শুধু রেমিট্যান্সের জন্য হাত তালি দিয়ে নয়, অভিবাসীদের সঙ্গে মানবিক ব্যবহার করার ওপর জোর দিন।
চতুর্থবারের মতো এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু)।
অনুষ্ঠানে ২০২০-২০২৯ সালকে অভিবাসন দশক ঘোষণা করে নারী ও পুরুষ অভিবাসীদের অধিকার রক্ষায় স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়ার ওপর জোর দেয়া হয়।
জিল্লুর রহমান বলেন, আমরা শুধু রেমিট্যান্সের জন্য হাততালি দিচ্ছি। কিন্তু প্রবাসীরা যখন বিমানবন্দরে আসছেন সেখানে তারা নেতিবাচক আচরণের শিকার হচ্ছেন। অভিবাসীদের সঙ্গে মানবিক ব্যবহারের জায়গাটি আরও উন্নত করতে হবে।
এ ছাড়া বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য নতুন বাজার সন্ধানের ওপরেও জোর দেন তিনি।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে অভিবাসন প্রক্রিয়া এখনও অনেক দীর্ঘ ও ঢাকাকেন্দ্রিক এবং অনানুষ্ঠানিক ব্যক্তিনির্ভর। যারা বিদেশ যান তাদের শতভাগকে দালালের ওপর নির্ভর করে যেতে হয়।
তাছাড়া অন্য দেশের তুলনায় বিদেশে যেতে বাংলাদেশিদের ৪-৫ গুণ বেশি অর্থ খরচ করতে হয় বলেও জানান তিনি।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ১৭টি অভিষ্ট আমাদের অর্জন করতে হবে। এটি একদিক থেকে বৈশ্বিক অভিষ্ট, কিন্তু অন্য দিকে থেকে আমরা যদি বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে চাই, যেখানে পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন থাকবে, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি থাকবে, অর্থনৈতিক প্রগতি থাকবে। এই তিনটির যে সংমিশ্রণ, অভিষ্টতে কিন্তু তাই বলা আছে।
তিনি বলেন, অভিবাসীরা অর্থনীতিতে যে অবদান রাখছেন, সেটার জন্য আমরা যদি একটা ভালো পরিবেশ করতে পারি তাহলে ১৭টি অভিষ্টের মধ্যে ১১টি অর্জন সহজ হবে। আমরা যদি অভিবাসন দশক ঘোষণা করতে পারি, ২০৩০ এ কিন্তু টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রার সময় শেষ হবে।
রামরুর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, গতবারের মতো এবারও ২০২০-২৯ সালকে অভিবাসন দশক ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি। কারণ শুধু বিদেশ পাঠানোই অভিবাসনের কাজ নয়। অভিবাসনের কাজ হচ্ছে, তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা। যাতে করে অপেশাদার ও অদক্ষ লোক না পাঠিয়ে দক্ষ কর্মী পাঠানো। যেন বাংলাদেশিরা শ্রমবাজারে আরও প্রশংসিত হন সেই চেষ্টা করা।
নতুনসময় / আইআর