বর্ষবরণ ঘিরে র্যাবের নিরাপত্তার বেষ্টনী

এবারের পহেলা বৈশাখে বর্ষবরণের নানা উৎসব ও আয়োজনকে ঘিরে র্যাবের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। রমনা বটমূল, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, ধানমন্ডিসহ সব উৎসবস্থলেই থাকছে বাড়তি নজরদারি।
আজ শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রমনা বটমূল ঘিরে র্যাবের নিরাপত্তা প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক কর্নেল মো. জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি জানান, রমনা বটমূল, ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নববর্ষের বড় অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এছাড়াও অন্যান্য স্থানে অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এসব অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সম্ভাব্য নাশকতা ঠেকানোর জন্য র্যাবের পক্ষ থেকে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
আমরা ইতোমধ্যেই তথ্য সংগ্রহ করেছি এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করছি, যা অনুষ্ঠান শেষ হওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে।
গতকিছু দিন থেকেই বর্ষবরণ উপলক্ষে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় র্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলছে।
জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, নববর্ষের বড় বড় ভেন্যুতে আমাদের মোবাইল পেট্রোল, মোটরসাইকেল পেট্রোল, অবজারভেশন পোস্ট থাকবে। রাজধানীতে যতো ভেন্যু আছে, সবগুলোকে সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হবে। রমনা বটমূলসহ গুরুত্বপূর্ণ সব ভেন্যুতে ডগ স্কোয়ার্ডসহ বোম ডিসপোজাল ইউনিট সুইপিং করবে। সার্বিক দিক দিয়ে রাজধানীতে যতো ভেন্যু রয়েছে, সেগুলো নিরাপদ রাখার জন্য শতভাগ ব্যবস্থা নিচ্ছি ।
এছাড়াও বড় ভেন্যুগুলোর সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য আমরা কন্ট্রোলরুম স্থাপন করেছি। বড় ভেন্যুতে ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ মেডিকেল টিম থাকবে যাতে মানুষ নির্বিঘ্নে নববর্ষ উদযাপন করতে পারে।
র্যাবের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক বলেন, রাজধানীর বাইরে দেশের অন্যান্য জায়গায় নববর্ষের বিশেষ প্রোগ্রাম হচ্ছে, সেখানে র্যাবের ব্যাটালিয়ন ও ক্যাম্পের পক্ষ থেকে সাদা পোশাকে ও পোশাকে পূর্ণ নিরাপত্তা প্রদানে উপস্থিত থাকবে। পহেলা বৈশাখ ঘিরে কোনো ধরনের হুমকি আছে কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো হুমকির খবর আমাদের কাছে নেই।
এদিকে, পহেলা বৈশাখ উদযাপনের কেন্দ্রস্থল রমনা বটমূলসহ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে র্যাব-৩।র্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. এমরানুল হাসান বলেন, নববর্ষের আয়োজন ঘিরে রমনাসহ ঢাবি এলাকায় কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করা হয়েছে।
এখানে আমরা পার্শ্ববর্তী কয়েকটি ক্যাম্পের সহযোগিতা নিয়েছি।
তিনি বলেন, নববর্ষ নিবিঘ্নে উদযাপনে রমনায় স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্স এবং ইভটিজিং রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকছেন। এছাড়াও টহল, ফুট পেট্রোল, ওয়াচ টাওয়ার, মোটরসাইকেল পেট্রোলের ব্যবস্থা থাকছে।
নতুন সময়/এসআই