বিচারহীনতার সংস্কৃতির জন্য নুসরাতদের মৃত্যু হচ্ছে

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজি রিয়াজুল হক বলেছেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি জন্য দেশে অন্যায়, অত্যাচার ও অবিচারের মাত্রা দিনকে দিন বেড়ে গেছে। এভাবে চলতে পারে না। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেড়িয়ে আসতে হবে। আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি, কী করে মানুষের মূল্যবোধ ক্রমান্বয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে? এই পচনের হাত থেকে আমাদের মুক্তির প্রয়োজন। আমি আশ্চর্য হয়ে যাই, যেভাবে যৌন হয়রানির ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে, তা খুবই উদ্বেগজনক। আমি মনে করি, দেশের মানুষ সঠিক বিচার পাচ্ছে না বলেই এসব ঘটনা বাড়ছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে দুর্বৃত্তের দেয়া আগুনে দগ্ধ মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাতের মরদেহ দেখতে এসে আবেগআপ্লুত তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক রিয়াজুল হক বলেন, নুসরাত প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরের নাম। যে সমাজকে দেখিয়ে দিয়েছে, শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত লড়াই করে গেছে অবিচারের বিরুদ্ধে। মৃত্যুও তাকে থামাতে পারেনি। অপরাধীরা তার ভয়ে ভীত। অন্য শিক্ষার্থীদের মতো কারও যৌন লালসার কাছে মাথা নত করেনি সে। আমি সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি দিনটিকে ‘নুসরাত ডে’ হিসেবে পালন করা হোক। অপরাধী সেই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করার পরেও তার চেহারায় ভীতি দেখা যায়নি। তার মানে অপরাধীর কাছে ভীতি সৃষ্টিতে ব্যর্থ। এটা লজ্জার বলেও জানান তিনি।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, অগ্নিদগ্ধ নুসরাতের হত্যাকারীদের দ্রুততম বিচারের দাবি জানাচ্ছি। কেউ যাতে এমন অপরাধ করে পার পেয়ে না যায়, সে দিকে সকলকে খেয়াল রাখতে হবে। যাতে করে অন্য অপরাধীদের কাছেও সতর্ক বার্তা পৌঁছে যায়। অন্যায় করলে শাস্তি অবধারিত এই বার্তাটা সকলকে পৌঁছে দিতে হবে। এছাড়া পুলিশ তাদের সঙ্গে যে অন্যায় অবমাননাকর আচরণ করেছে তারও বিচার দাবি করছি।