“আর কোন শরীর যেন দগ্ধ না হয় সেই ব্যবস্থা চাই''

পুড়ে যাওয়া শরীরের শুধু সুচিকিৎসা নয় আর কোন শরীর যেন দগ্ধ না হয় সেই ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
শুক্রবর (৫ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রাজধানীর চকবাজারের চুড়ি হাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নিহত, আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
উক্ত মানব বন্ধনে উপস্থিত এডভোকেট সুমাইয়া আজিজ। তিনি বলেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি চকবাজারের চুড়ি হাট্টার ভয়াবহ মর্মান্তিক অগ্নিকান্ডে হারিয়েছে তার মেঝো ও ছোট ভাইকে। পুড়ে যাওয়া শরীরের আত্মচিৎকার এখনো শোনা যায় সেখানে। কোন বোন যেন তার মতো ভাই হারা না হয়। কোন সন্তানকে যেন তার মা বাবাকে না হারায়। কেউ যেন তাদের মতো স্বজন হারা না হয়। পুরো দেশটাই যেন এখন মৃত্যুপুরী। স্বজনহারানোর এমন ভয়াবহ মর্মান্তিক দৃশ্য যেন পুনরায় না দেখতে হয়। এজন্য সরকারের কাছে দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
বক্তরা আরও বলেন, সরকার দেশের অভিভাবক যেন তাদের পাশে দাঁড়ায় অগ্নিকান্ডে নিহত, আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ করে আর্থিক সহায়তা দান করে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে। নিহতদের সন্তানদের চিকিৎসা ও পড়ালেখার ব্যয়ভার বহন করে। এছাড়াও কেমিকেল ও ধার্য পদার্থ নিরাপদ স্থানে গুদাম জাত করা সহ কেমিকেল যেন পুনরায় এ এলাকায় না গুদামজাত না করতে পারে সেই ক্ষেত্রে সরকারকে বিশেষভাবে দৃষ্ট আকর্ষণ করার দাবি জানান তারা।
এদিকে চকবাকার চুড়ি হাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত, আহত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবিতে ২৫টির সংঘটনের পক্ষ থেকে মানব বন্ধনের আয়োজন করা হয়।
উক্ত মানব বন্ধনে কয়েকশত ভুক্তভোগীরা অংশগ্রহণ করেন।
পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের বলেন, চুরি হাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড দূর্ঘটনায় নিহত পরিবারে যথাযথ উপযুক্ত আর্থিক ক্ষতি পূরন প্রদান করতে হবে। এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান গুলো এ সকল বিল্ডিংয়ের অনুমদন দিয়েছে তাদের শাস্তি আওতায় আনতে হবে। ভবিষ্যতে যেন এমন দূর্ঘটনা না ঘটে সেই বিষয় সরকারের নজর দিতে হবে।