টাঙ্গাইলে উপজেলা নির্বাচনে শেষ হাঁসি!

চতুর্থ ধাপে উপজেলা নির্বাচনে টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলার মধ্যে আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩ জন জয়ী হন। বাকী নয়টি উপজেলায় গতকাল পাঁচটিতে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী এবং ৪টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হন ।
বিজয়ী ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা হলেন, ঘাটাইল উপজেলায় শহিদুল ইসলাম লেবু নৌকা প্রতিক নিয়ে ৬৪ হাজার ১শ পাঁচ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোহাম্মদ আরিফ হোসেন স্বতন্ত্র (আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী)-আনারস প্রতিকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৮শত ৮৭ ভোট।
ভূঞাপুরে এডভোকেট আব্দুল হালিম নৌকা প্রতিক নিয়ে ২০ হাজার ৬শত ৮০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আমিরুল ইসলাম তালুকদার বিদ্যুৎ (আওয়ামী বিদ্রোহী) মোটর সাইকেল প্রতিকে পান ১৫ হাজার ৯শ চৌদ্দ ভোট।
কালিহাতীতে আনসার আলী বিকম- স্বতন্ত্র (আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী)-আনারস প্রতিক নিয়ে ৬৮ হাজার ৯শত ৮২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোজহারুল ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু নৌকা প্রতিকে পেয়েছেন ২৬ হাজার ৬শত ১৭ ভোট।
টাঙ্গাইল সদরে শাহজাহান আনসারী-নৌকা প্রতিক নিয়ে ৫৯ হাজার ৯শত ৬৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি (স্বতন্ত্র) আলী আজগর-ঘোরা প্রতিকে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৭শত ৯৫ ভোট।
দেলদুয়ারে মাহমুদুল হাসান মারুফ-স্বতন্ত্র (আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী)-আনারস প্রতিক নিয়ে ২৬ হাজার ৯শত ৯০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ফজলুল হক নৌকা প্রতিকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮শত ৫৭ ভোট।
নাগরপুরে- আব্দুস সামাদ দুলাল স্বতন্ত্র (বিএনপি সমর্থিত/ বহিস্কার)-হোন্ডা প্রতিক নিয়ে ৬৮ হাজার ৯শত ৮২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি কুদরত আলী নৌকা প্রতিকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৩শত ৭২ ভোট।
মির্জাপুরে মীর এনায়েত হোসেন মন্টু নৌকা প্রতিক নিয়ে ৬৭ হাজার ১শ দুই ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি (স্বতন্ত্র) বিএনপির সদস্য ফিরোজ হায়দার খান মোটর সাইকেল প্রতিকে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ১শত ভোট।
বাসাইলে কাজী অলিদ ইসলাম স্বতন্ত্র (আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী)-আনারস প্রতিক নিয়ে ৩৫ হাজার ৩শত ৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মতিয়ার রহমান (গাউস) নৌকা প্রতিকে পেয়েছেন ৮ হাজার ৭শত ৮১ ভোট।
সখিপুর উপজেলায় জুলফিকার হায়দার কামাল লেবু-নৌকা প্রতিক নিয়ে ৫০ হাজার ৫১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি অধ্যক্ষ আবু সাঈদ মিয়া স্বতন্ত্র (আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী)-আনারস প্রতিকে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৪শত ৩৬ ভোট।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরা হলেন, ধনবাড়ী উপজেলায় হারুনার রশিদ হীরা-নৌকা, মধুপুরে ছরোয়ার আলম খান-নৌকা এবং গোপালপুরে ইউনুছ ইসলাম তালুকদার (ঠান্ডু)- নৌকা।
নতুনসময় / আইআর