ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৬শে জুন ২০২৫, ১৩ই আষাঢ় ১৪৩২


স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আওতায় বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স


২৬ মার্চ ২০১৯ ২২:০১

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হক বলেন, বিমানে অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে আরও কিছু পদক্ষেপ আসছে। বিমানে কোনো দুর্নীতিবাজের ঠাঁই হবে না। অব্যাহত দুর্নীতি ও লুটপাট কমাতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে শক্ত হাতে ধরতে শুরু করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। টিকিট বিক্রি, কার্গো পরিবহনসহ বিমানের সকল দিক ও বিভাগকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে রাষ্ট্রায়ত্ত এই এয়ারলাইন্সের শীর্ষ একাধিক পদে (পরিচালক) পরিবর্তন শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (প্রশাসন) পদে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদকে প্রেষণে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে একটি বাদে সবগুলো পরিচালক পদে প্রেষণে নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র।

জানা গেছে, বছরের পর বছর ধরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের গুরুত্বপূর্ণ পরিচালক প্রকৌশল, পরিচালক পরিকল্পনা, পরিচালক গ্রাহক সেবা ও পরিচালক প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড লজিষ্টিক পদগুলো শূন্য থাকতো। ফলে দাফতরিক কাজে মারাত্মক ব্যাহত হতো। এই অবস্থার অবসান কল্পে গত বছর সংস্থার পরিচালনা বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিচালক প্রকৌশল ও পরিকল্পনা পদে বিমান বাহিনীর দুই সাবেক কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেয়া হয়।

চার মাস ধরে পরিচালক প্রশাসন পদে ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ট্রেনিং সেন্টারের (বিএটিসি) প্রিন্সিপাল পার্থ কুমার পণ্ডিত। তার আগে মো. মমিনুল ইসলাম এই দায়িত্বে ছিলেন। গত মঙ্গলবার রাতে বিমান পরিচালনা পর্ষদ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত রোববার (২৪ মার্চ) বিকেলে নতুন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন উপসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ। এখনও মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস ও প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড লজিষ্টিক পরিচালক পদ দুটিতে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন যথাক্রমে মহাব্যবস্থাপক আশরাফুল ইসলাম ও পরিচালক (গ্রাহকসেবা) মো. মমিনুল ইসলাম। বর্তমানে ৫টি পরিচালক পদের মধ্যে মাত্র মমিনুল ইসলাম বিমানের তৃণমূল থেকে উঠে আসা কর্মকর্তা।

সূত্র জানিয়েছে, নিকট ভবিষ্যতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে আরও রদবদল হতে পারে। পরিচালকদের সব শূন্যপদে মন্ত্রণালয় থেকে প্রেষণে নিয়োগ দেয়া হবে।

নতুনসময় / আইআর