নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন খাতকে অর্থবছরের মূলধারায় নিয়ে আসার আহবান

নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) খাতকেউন্নয়নে সকলের প্রয়োজন বিবেচনায় এনে সম্যতা ও নায্যতার ভিত্তিতে বাজেট বরাদ্দের আহবান জানিয়েছেন ওয়াশ সেক্টরের সাথে জড়িত বিশিষ্ট গবেষক এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ ওয়াশ নেটওয়ার্কিং সংস্থাসমূহ।

গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করতে যেয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং পিপিআরসির চেয়ারম্যান ডঃ হোসেন জিল্লুর রহমান উল্লেখ করেন, ওয়াশ খাতে বরাদ্দকৃত বাজেট ও ব্যয়ের ধরণ থেকে এটা পরিষ্কার ওয়াশ বরাদ্দের যথাযথ ব্যবহার এখনো একটি চ্যালেঞ্জ। এ অবস্থা পরিবর্তনে দক্ষতার উন্নয়ন ও এ খাতে নিয়মিত ব্যয় পর্যবেক্ষণ জরুরী বলে মনে করেন তিনি।

আজ ২০ শে মার্চ (বুধবার) রাজধানীর প্রেসক্লাবে ওয়াটারএইড বাংলাদেশের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন তিনি এ কথা বলেন। কনফারেন্সে উপস্থিতি বক্তাগণ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে ৬ ওয়াশ খাতে অর্থায়ন ঘাটতি কমিয়ে আনার উপর গুরত্ব দেন।

সংবাদ সম্মেলনে ওয়াশ সেক্টর নেটওয়ার্ক সম্মিলিতভাবে ওয়াশকে মূলধারায় আনতে নিম্নোক্ত দাবিগুলো তুলে ধরেনঃ

গ্রামীণ ও মাঝারি শহর এলাকায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বরাদ্দ বৃদ্ধি করা, দুর্গম এলাকাসমূহ এবং বরাদ্দ না পাওয়া সিটি কর্পোরেশনগুলোতে ওয়াশখাতে বরাদ্দ করতে হবে, পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যবিধি এবং সচেতনতা সৃষ্টির মত সাব- সেক্টরাল বিষয়গুলিতে বরাদ্দ বৃদ্ধিতে অগ্রাধিকার দিতে হবে, সরকারি অর্থ ও বাজেট ব্যবস্থাপনা আইন,২০০৯ বাস্তবায়নে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ওয়াশ পরিবীক্ষণ ইউনিট প্রতিষ্ঠা করতে হবে, এসডিজি ৬ অর্জনে ওয়াশ খাতে অর্থায়ন ঘাটতি কমিয়ে আনতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ইউনিসেফের পক্ষ থেকে ছিলেন মোস্তফা মূসা, পিপিআরসি এর চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমানসহ আরো অনেকে।

---