ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৬শে জুন ২০২৫, ১২ই আষাঢ় ১৪৩২


সম্ভাব্য ৩ মে হতে পারে ৪০তম বিসিএস


১১ মার্চ ২০১৯ ২৩:১৯

পরীক্ষা আয়োজনে ইতোমধ্যে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আ ই ম নেছার উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। ৩ মে সারাদেশে একযোগে এ পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে বলে পিএসসি সূত্রে জানা গেছে। ৪০তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী ৩ মে আয়োজন করার প্রস্তুতি শুরু করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্ভাব্য আগামী ৩ মে (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ৪০তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে। সেই লক্ষ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর এবং ময়মনসিংহ বিভাগের সকল পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে এ পরীক্ষা একযোগে শুরু করা হবে। পরীক্ষাটি বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে নেয়া হবে। ২০০ নম্বরের পরীক্ষা ২ ঘণ্টাব্যাপী চলবে।

পূর্বের ন্যায় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠানের বিষয়ে কমিশন সংশ্লিষ্ট সকলকে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, কেন্দ্রের কক্ষের মধ্যে প্রতি বেঞ্চে সর্বোচ্চ ২ জন প্রার্থী এবং প্রতি প্রার্থীর মধ্যে তিন ফুট দূরত্ব রাখতে হবে। সেই মোতাবেক কক্ষভিত্তিক প্রার্থীর ধারণ ক্ষমতার একটি বিবরণীসহ সর্বমোট প্রার্থী সংখ্যার পরিসংখ্যান প্রেরণসহ বিস্তারিত তথ্য আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে লিখিত সম্মতি এবং ২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কক্ষভিত্তিক সংখ্যার বিবরণী দিতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক সোমবার বলেন, ৪০তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজনে আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। সেখানে ৩ মে সম্ভাব্য একটি সময় উল্লেখ করা হয়েছে। যদি চাহিদা অনুযায়ী আসন খালি পাওয়া যায় তবে আগামী ৩ মে ৪০তম বিসিএস পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। আসন খালি পাওয়া সাপেক্ষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান পিএসসি চেয়ারম্যান।

তিনি আরও বলেন, আগামী এপ্রিলে ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে। বর্তমানে দ্বিতীয় ধাপে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের কাজ চলছে। উল্লেখিত সময়ের মধ্যেই ফল প্রকাশ করা হবে।

গত ১১ সেপ্টেম্বর ৪০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। ৪০তম বিসিএসের আবেদন গ্রহণ শুরু হয় ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রেকর্ডসংখ্যক প্রার্থীর আবেদন জমা হয়। প্রায় সাড়ে ৪ লাখ প্রার্থী আবেদন করেন।

এবারের পরীক্ষার মাধ্যমে মোট ১ হাজার ৯০৩ জন ক্যাডার নিয়োগ দেয়া হবে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ক্যাডার অনুসারে প্রশাসনে ২০০, পুলিশে ৭২, পররাষ্ট্রে ২৫, করে ২৪, শুল্ক আবগারিতে ৩২ ও শিক্ষা ক্যাডারে প্রায় ৮০০ জন নিয়োগ দেয়ার কথা রয়েছে।

নতুনসময় / আইআর