ঢাকা বুধবার, ২৫শে জুন ২০২৫, ১২ই আষাঢ় ১৪৩২


স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই-প্রধানমন্ত্রী


৯ মার্চ ২০১৯ ০৭:৩৯

কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন কমপ্লেক্স মিলনায়তনে এক সেমিনারে প্রধানমন্ত্রী

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যে ভাষণ দিয়েছিলেন তাতে স্বাধীনতার পাশাপাশি জাতির ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের ঘোষণা ছিল বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই। এই ভাষণ নিয়ে অনেকে অনেক ধরনের ব্যাখ্যা দেন, যা ঠিক নয়। জাতিকে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস জানাতে প্রথম কাজ করে আওয়ামী লীগ। ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত তরুণ প্রজন্ম প্রকৃত ইতিহাস থেকে বঞ্চিত ছিল।

শুক্রবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন কমপ্লেক্স মিলনায়তনে এক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চ-এর ভাষণের ওপর সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

রাজনীতিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যক্তিজীবনে আমি কী পেলাম আর কী পেলাম না এ হিসাব করলে চলবে না। রাজনীতিতে এসেছেন দেশের মানুষের সেবা করতে। মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম সেটাই বড় কথা। যা বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়ে গিয়েছেন।

তিনি বলেন, ৭৫-এর পরে এ দেশের রাজনীতি ইতিহাস ব্যর্থতায় পর্যবেশিত হতে ছিল। যুব সমাজ এক সময় অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। তারা প্রকৃত ইতিহাস নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিল। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে একজন খল নায়ককে দাঁড় করানো হয়েছিল। তিনি নাকি কোন ড্রামের ওপর উঠে ঘোষণা দিয়েছিলেন। এভাবে ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোযোগ দিয়ে সেই ভাষণ প্রত্যক্ষ করেন।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর রহমান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান।

মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের সভাপতি শিল্পী হাসিম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক ড. নিলয় রঞ্জন বিশ্বাস, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের প্রধান নির্বাহী মাসুদা হোসেন।