সদরঘাটে নিখোঁজ পরিবারের ৬ জনের মধ্যে ১ জনের মরদেহ উদ্ধার

সদরঘাটে লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ হওয়া একই পরিবারের ৬ জনের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৩ শিশুসহ ৫ জন। লঞ্চের পাখার আঘাতে দুই পা বিচ্ছিন্ন পরিবারের অপর এক সদস্য পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
চাচাতো বোনের বিয়েতে অংশ নিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শরীয়তপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন শাহজালাল। কিন্তু কামরাঙ্গীরচরের পর থেকে নৌকাযোগে লঞ্চঘাটে পৌঁছানোর আগেই নৌঁকাডুবিতে নিখোঁজ হন স্ত্রী সন্তানসহ তার পরিবারের ৬ সদস্যদের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে নয়টার দিকে সুরভী-৭ লঞ্চটি পেছনের দিক থেকে নৌকাটি ধাক্কা দিলে ৭ জনকে নিয়ে নৌকাটি ডুবে যায়। এতে লঞ্চের পেছনের পাখার আঘাতে শাহজালালকে দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে তাকে উদ্ধার করে পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিখোঁজদের সন্ধানে রাতভর ফায়ার সার্ভিস ও নৌ বাহিনীর ডুবুরিদল অভিযান চালালেও কাউকে উদ্ধার করা যায়নি। শুক্রবার ভোর থেকে অতিরিক্ত নৌযান চলাচলের কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হয়।
ফায়ার সার্ভিস উপ সহকারী পরিচালক মো. মোস্তফা মহসিন বলেন, নৌযান চলাচল করছে, মানুষ উঠছে নামছে। এতে করে আমাদের উদ্ধার কাজ করা নিয়ে অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে।'
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামিম বলেন, লঞ্চের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া ভবিষ্যতে যেন এরকম দুর্ঘতনা না ঘটে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।'
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিআইডব্লিউটিএ।