'কারচুপি' সামাল দিতেই ইভিএম ব্যবহার বাড়াতে হবে

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, কারচুপি রোধে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার শুরু করা হবে। কারচুপি রোধে আমাদের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়। তারপরও সামাল দেওয়া যায় না। তাই ইভিএম ব্যবহারের বিকল্প নেই।

নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ (টিওটি) কর্মশালায় শুক্রবার তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ইটিআইয়ের ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কেএম নূরুল হুদা বলেন, 'পরিবেশ-পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে অবনতির দিকে যাচ্ছে এবং আইন আরও কঠোর হচ্ছে। এখন আমাদের আচরণবিধি তৈরি করতে হয়, নির্বাচনে আইন প্রণয়ন করতে হয়, আমাদের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয় তারপরও সামাল দেওয়া যায় না। এই পরিস্থিতিতে আছে আমরা এ অবস্থা থেকে উত্তরণের দরকার। কোন দেশে আছে সেনাবাহিনী নির্বাচন পরিচালনার জন্য নিয়োজিত হন? নির্বাচন করতে যাবেন রাজনৈতিক দল যারা দেশ পরিচালনা করবেন। জনগণ দেশের মালিক, তারা ভোট দিতে যাবেন এবং আমরা যারা দায়িত্বে থাকবো, আমরা নির্বাচন পরিচালনা করবো। ভোটাররা ভোট দেবে, ভোট দিয়ে চলে যাবে, কোনো সমস্যা থাকবে না।'

সিইসি বলেন, 'সমাজে নানা রকম অসাধু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জালিয়াতির চেষ্টা করা হয়। এ ধরনের জালিয়াতি প্রক্রিয়া প্রতিহত করতে আবার একটি আইন বা নিয়ম তৈরি হয়। সমাজে একটার পর একটা অনিয়ম অনুপ্রবেশ করে, আবার সেটি প্রতিহত করতে একটা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়। আমরা এখন চিন্তা করছি ইভিএম শুরু করে দেবো, তাহলে সেখানে আর জালিয়াতি করার সুযোগ থাকবে না।'

এবার পাঁচ ধাপে দেশের ৪৯২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ করবে ইসি। প্রথম ধাপে আগামী ১০ মার্চ, দ্বিতীয় ধাপে ১৮ মার্চ, তৃতীয় ধাপে ২৪ মার্চ, চতুর্থ ধাপে ৩১ মার্চ ও পঞ্চম ধাপে ১৮ জুন ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন।

---