ঢাকা বুধবার, ২৫শে জুন ২০২৫, ১২ই আষাঢ় ১৪৩২


জলবায়ু উপযোগী রেখে দেশে স্থাপনা নির্মাণ করুন প্রকৌশলীদের প্রধানমন্ত্রী


৩ মার্চ ২০১৯ ০৮:৩৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জলবায়ু উপযোগী রেখেই বাংলাদেশে যেসব স্থাপনা নির্মাণ করবেন। আমাদের দেশের জলবায়ু, আবহাওয়া, গরম, লোনা এবং আর্দ্রতা সবকিছু মাথায় রেখেই স্থাপনা নির্মাণ করবেন। প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানীদের গবেষণার জন্য আমরা আলাদা আলাদা বরাদ্দ রাখছি। তাই দেশের উন্নয়নে প্রকৌশলীদের আরও বেশি উদ্ভাবনী শক্তি বাড়াতে হবে।

রাজধানীর রমনায় আইইবি চত্বরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ’র ৫৯তম কনভেনশনের উদ্বোধনী অধিবেশনে শনিবার বিকেলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আইইবি’র প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. আব্দুস সবুর। বক্তব্য রাখেন আইইবি’র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ। এছাড়াও আইইবির ঢাকা সেন্টারের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ওয়ালিউল্লাহ সিকদার বক্তব্য রাখেন এবং ধন্যবাদ প্রদান করে বক্তব্য রাখেন আইইবি ঢাকা কেন্দ্রে সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শাহাদাত হোসেন শিপলু।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২১ বছর পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার সুযোগ পেল। আমরা সবসময় এই প্রচেষ্টাই নিয়েছি আমাদের দেশের লোকসংখ্যাকে বিবেচনা করে দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণ করা, পুষ্টি চাহিদা পূরণ করা, জীবনমান উন্নয়ন করা এবং তার জন্য সুন্দর পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনার সৃষ্টি করা। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি এবং কাজ করেছি।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬; ২১টা বছর হারিয়ে যায়। যে উন্নয়নটা আমাদের হওয়ার সম্ভাবনা ছিল, সেটা কিন্তু হয়নি। যদি সঠিক নেতৃত্বের হাতে পড়ত, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন, বাংলাদেশ অনেক আগেই উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বে একটা মর্যাদা পেত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকারে এসে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, বোমাবাজি, দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া থেকে শুরু করে দেশে একটা দুঃশাসন কায়েম করেছিল। পরবর্তীতে ৭ বছর পরে আবার পুনরায় আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। বিগত মেয়াদে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ ও পরিকল্পনায় দেশ অনেক এগিয়ে গেছে।

প্রকৌশলীদের অবদান ও সহায়তার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এ কাজগুলো করে যাচ্ছি তাতে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন বলেই আমরা তা বাস্তবায়ন করে সাফল্য অর্জন করতে পাচ্ছি। আমরা আপনাদেরও বঞ্চিত করিনি। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের এই প্রায় ১০ বিঘা জমিটা আপনাদের প্রতীকী মূল্যে রেজিস্ট্রি করে দিয়েছিলাম। এ ভবন তৈরির টাকাও কিন্তু আমরা দিয়েছি।

প্রকৌশলীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিজ্ঞান প্রযুক্তির যেমন বিস্তার ঘটছে তেমনি নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন হচ্ছে। তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে। সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ করার ঘোষণা দিয়েছি। আমরা এখন সমগ্র বাংলাদেশে ব্রডব্যান্ড এবং আমাদের ডিজিটাল সিস্টেম চালু করেছি। সেটাকে আরও উন্নত করার পদক্ষেপ নিয়েছি। এরইমধ্যে আমরা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি। সেই সঙ্গে ই-গর্ভনেন্স চালু করতে চাই। যার জন্য এখন টেন্ডার বাক্স ছিনতাই আর শোনা যায় না। আমরা ধীরে ধীরে ই-টেন্ডারে চলে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখনই কোনও পরিকল্পনা গ্রহণ করি, আমাদের এটা মাথায় রাখতে হবে, আমাদের ভূখণ্ড খুব সীমিত, লোকসংখ্যা বিশাল। আমাদের সীমিত ভূমিতে আমাদের এখন যে ১৬ কোটির উপরে মানুষ, তাদের খাদ্য নিরাপত্তা দিতে হবে। পুষ্টি নিরাপত্তা দিতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে তাদের জীবনমানের যাতে উন্নতি হয় সে উন্নয়নও আমাদের করতে হবে। আর এই উন্নয়নের ক্ষেত্রে কারিগরি শিক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

নতুনসময়/আইএ