ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানীতে ঘুমের রাজ্যে ছিলেন বিচারকরা

বেশ আলোচনা ও সমালোচনার মধ্য দিয়ে আয়োজিত হয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানী । একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচকে বয়কট করে ও নির্বাচন কমিশনকে অনাস্থা জানাতেই ছিল এ গণশুনানী। সারাদেশের ৫৪ জন জনপ্রতিনিধি এ শুনানীতে অংশগ্রহণ করেন। বিএনপি প্রার্থীরা জোরালোভাবে গণশুনানীতে অংশ নিলেও বিপত্তি হয়েছে ভিন্ন জায়গায়। সুপ্রিমকোর্ট মিলনায়তনে আয়োজিত এ গণশুনানীতে অংশ নেয়া বিচারক প্যানেলে সবাই ছিলেন নিদ্রাচ্ছন্ন ও অমনোযোগী।
আজ সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া কিছু ছবিতে দেখা যাচ্ছে ড.কামালসহ বিচারক প্যানেলে যারাই ছিলেন কমবেশী সবাই ঘুমাচ্ছিলেন। গণশুনানীতে বিচারক প্যানেলে ছিলেন ঐক্যফ্রন্টের ৮ নেতা। এ ঘুম নিয়ে ২০ দল ও বিএনপিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরী হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একাধিক নেতা বলেছেন, এ ধরনের গণশুনানীর আয়োজন হাস্যকর। যেখানে সরকারের বিরুদ্ধে গণমত তৈরী করা যায়নি সেখানে গণশুনানী হবে কেন?
বিএনপি নেত্রী শামা অবায়েদ বলেন, যদি বিএনপিকে সম্পৃক্ত করা হতো তাহলে গণশুনানী আরো সুন্দর ও গোছালো হতে পারতো । তার মতে, যে গণশুনানী হয়েছে তা অভ্যন্তরীনভাবে হয়েছে এতে করে সামাজিকভাবে কোন প্রতিফলন ঘটবে না।
গণশুনানী সম্পর্কে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘২০১৪ সালে খালেদা জিয়া আন্দোলনের চেষ্টা করে অগ্নিসন্ত্রাস করে। জনগণ কিন্তু সায় দেয়নি। আবার তারা ২০১৮ সালে নির্বাচন করেছেন। নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন। এর পর গণশুনানি করে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট ।’