সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতা: পাহাড়ে কমছে পর্যটক, অর্থনৈতিক সংকটে স্থানীয়রা

সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতায় পাহাড়ে কমছে পর্যটক, এর প্রভাবে বাড়ছে স্থানীয়দের অর্থনৈতিক সংকট। অপহরণ, চাঁদাবাজি ও আধিপত্যবাদের প্রভাব বিস্তারে উদ্বিগ্ন পাহাড়ি-বাঙালি জনগোষ্ঠী। নিরাপত্তা নিশ্চিতে দর্শনীয় স্থানগুলোতে পর্যটনের জন্য রয়েছে নানা বিধি-নিষেধ।
স্থানীয়দের মধ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো নিয়ে আতঙ্ক এতোটাই যে, আর্থিক দৈন্যদশার মধ্যে জীবন চললেও সহিংস কার্যক্রম নিয়ে ভয়ে কেউ মুখ খোলেন না। পাহাড়ে অপহরণ-হত্যা কিংবা চাঁদাবাজির মতো অপরাধ এতোই প্রকট যে স্থানীয়দের মধ্যে যাদের সাথে কথা হয়েছে তাদের সবাই আতঙ্কগ্রস্ত।
পার্বত্য এলাকায় মৌসুম অনুযায়ী যে সংখ্যক পর্যটক থাকার কথা তার তুলনায় অনেক কম আসছে। দল বেধে স্বজন কিংবা বন্ধুদের সাথে যারা এসেছেন তাদের মধ্যেও আছে এক ধরনের উৎকন্ঠা।
বান্দরবানের যে কয়েকটি এলাকায় পর্যটকরা সৌন্দর্য অন্বেষনে যান তাদের বেশিরভাগ স্থানেই যাওয়া নিরুৎসাহিত করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এমনকি বগা লেকের পরে কেওক্রাডাংসহ বেশ কয়েকটি স্থানে পর্যটকদের যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা আছে।
খাগড়াছড়ি-বান্দরবান-রাঙ্গামাটির সব হোটেল-মোটেলকেই নিয়মিত চাঁদা দিতে হয়। গোয়েন্দা তথ্য বলছে, তিন পার্বত্য জেলা থেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে বছরে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়।
এ বিষয়ে পুলিশ বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, পর্যটকদের দু’একটি জায়গায় যাওয়া নিয়ে নিষেধাজ্ঞা আছে। ভবিষ্যতে হয়তো এগুলো খুলে দেয়া হবে। চাঁদাবাজির বিষয়টিও অস্বীকার করেননি তিনি। বলেন, সশস্ত্র গ্রুপগুলো এটি করে থাকে।
পাহাড়ে শক্তিমত্তা ও প্রভাব বজায় রাখতে কখনোই স্থিতিশীল পরিবেশ চায় না সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো।