ঢাকা মঙ্গলবার, ১২ই আগস্ট ২০২৫, ২৮শে শ্রাবণ ১৪৩২


অতিরিক্ত শুল্ক ও নতুন শর্তারোপ বেনাপোল বন্দর দিয়ে মাছ আমদানি বন্ধ


১১ আগস্ট ২০২৫ ১৫:০৫

সংগৃহীত

ভারত থেকে মাছ আমদানি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে। আমদানিকারকদের অভিযোগ, নির্ধারিত শুল্কের চেয়ে বেশি অর্থ আদায় এবং নতুন শর্ত আরোপ করায় তারা বাধ্য হয়ে এ পদক্ষেপ নিয়েছেন। এতে প্রতিদিন সরকারের কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আয় বন্ধ হয়ে গেছে।

 

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে আমদানি হয় ১৭ হাজার ১১৮ মেট্রিক টন।

রোববার সকালে বেনাপোল স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা গেছে, কোনো মাছবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি। ব্যবসায়ীরা জানান, শনিবার সকাল থেকে মাছ আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন এই পথে মাছ আমদানি থেকে সরকার ৮০ লাখ থেকে এক কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব পেত।

 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সামুদ্রিক মাছে কেজিপ্রতি শুল্ক নির্ধারণ করেছে ৫০ সেন্ট (প্রায় ৩৮ টাকা)। কিন্তু বেনাপোল কাস্টম হাউজ কেজি প্রতি ৭৫ সেন্ট শুল্ক আদায় করছে বলে অভিযোগ। এতে প্রতি কেজিতে অতিরিক্ত ২৫ সেন্ট বা প্রায় ২০ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে আমদানিকারকদের, যা প্রতি চালানে কয়েক লাখ টাকার বাড়তি খরচ দাঁড়াচ্ছে। তবে রাজস্ব বের্ডের নির্ধারণ করা মিঠা পানির মাছে কেজি প্রতি ১.৫০ সেন্ট (৮৮ টাকা) শুল্ক বহাল রয়েছে।

 

এছাড়া কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নতুন শর্ত দিয়েছে প্রতিটি ট্রাকে ৮০ শতাংশ মিঠাপানির মাছ এবং ২০ শতাংশ সামুদ্রিক মাছ থাকতে হবে। ব্যবসায়ীদের দাবি, এই শর্তে ভারত থেকে মাছ আমদানি করা অলাভজনক হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার মীর্জা রাফেজা সুলতানা বলেন, মাছ আমদানিতে বাধা নেই, মিঠাপানির মাছ আমদানি করতে হবে ৮০ শতাংশ ও সামুদ্রিক মাছ আমদানি করতে হবে ২০ শতাংশ এই তথ্যটি সঠিক নয়। মাছ ব্যবসায়ীরা মিঠাপানির মাছ ও সামুদ্রিক মাছ আমদানিতে যে ঘোষণা দেন, তার সঙ্গে আমদানি করা পণ্যের কোনো মিল থাকে না। যার ফলে গত সপ্তাহে আমদানিকৃত মাছের বেশ কয়েকটি চালানে অনিয়মের সত্যতা পাওয়ায় জরিমানা করা হয়েছিল। বৈধভাবে মাছ আমদানিতে বেনাপোল কাস্টম হাউসের সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে।