শেখ হাসিনা-আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানের মানবতাবিরোধী মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এ সময় তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৬ আগস্ট ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (৪ আগস্ট) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে দ্বিতীয় সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে নতুন এ দিন ধার্য করেন।
আজ সকাল সাড়ে ১১টায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই রাজধানীর বিজয়নগরে পুলিশের গুলিতে পা হারানো আবদুল্লাহ আল ইমরান সাক্ষ্য দেন। তিনি বলেন, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাকে প্রথমে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান পা কাটতে চান চিকিৎসকরা। পরে সেখান থেকে নেয়া হয় পঙ্গু হাসপাতালে। শুরুতে চিকিৎসা পেলেও শেখ হাসিনা এই হাসপাতাল পরিদর্শনে যাওয়ার পর চিকিৎসায় গাফিলতি শুরু হয়।
সাক্ষী আরও বলেন, শেখ হাসিনা হাসপাতালে রোগী দেখে বের হওয়ার সময় হেল্প ডেস্কে বলে যান– ‘নো রিলিজ, নো ট্রিটমেন্ট’। এটা তিনি শুনতে পান। এই নির্দেশনার পর থেকে তার চিকিৎসায় গাফিলতি শুরু হয় এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে যেতে চাইলে রিলিজ দেয়া হয়নি। যার কারণে সাক্ষী আবদুল্লাহ আল ইমরানের বাম পায়ের নিচের অংশ অকেজো হয়ে পড়ে।
এ ঘটনার জন্য শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে দায়ী করেন তিনি।
এরপর জুলাই আন্দোলনে আহত নারী পারভীন ১৮ জুলাই যাত্রাবাড়ীর নৃশংসতার বর্ননা দেন। তিনি বলেন, একটি ছেলে গুলি খেয়ে পড়ে থাকতে দেখে তিনি বাঁচাতে এগিয়ে যান। ছেলেটিকে ওঠানোর পর বুকে নিলে পুলিশ এসে গুলি করে। এ সময় পুলিশের গুলিতে পারভীন চোখ হারান।
এ ঘটনার জন্য শেখ হাসিনাকে দায়ী করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ছিল পুলিশের বাপ-মা। সুতরাং শেখ হাসিনার কথাতেই পুলিশ গুলি করেছে। সব কিছুর জন্য শেখ হাসিনাই দায়ী।
তাদের জবানবন্দির সময় কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।