ঢাকা সোমবার, ১৮ই আগস্ট ২০২৫, ৪ঠা ভাদ্র ১৪৩২


খাতায়-কলমে: বেনাপোল কাস্টমস হাউসে ১৪০ জন এনজিও অপসারণের সিদ্ধান্ত


৩ আগস্ট ২০২৫ ১৮:৩৫

সংগৃহীত

বেনাপোল কাস্টমস হাউসে নতুন কমিশনার খালেদ মোহাম্মদ আবু হোসেন যোগদানের পর একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি যোগদানের পর মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে ১৪০ জন নন‑গভর্নমেন্টাল অর্গানাইজেশন (এনজিও) কর্মরতদের কাস্টম হাউস থেকে অপসারণ করেন, যাঁদের ব্যাপারে দীর্ঘদিন থেকে অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও ব্যবসায় বাধা সৃষ্টি করার অভিযোগ ছিল ।

 

স্থানীয় সিএন্ডএফ (ক্যারিয়েজ অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং) এজেন্টদের অভিযোগ অনুযায়ী, এনজিও কর্মীরা অনেক ক্ষেত্রে অহেতুক প্রভাব দেখিয়ে প্রভাবিতদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করতেন, যা আমদানি-রফতানি বাণিজ্যকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছিল। এমন পরিস্থিতিতে এনজিওরা স্বল্প সময়ের মধ্যে কোটি টাকার মালিক হয়ে উঠছিলেন, যা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছিল ।

 

কমিশনার খালেদ মোহাম্মদ আবু হোসেনের কঠোর নজরদারিতে এবং এনজিও অপসারণের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট একজন কর্তা বলেন, পূর্বে খুলনা ও যশোর কাস্টম হাউসের জনবল ধার করে কার্যক্রম চালানো হত। কখনো কখনো কর্মকর্তারা আত্মীয় পরিচিতদের যুক্ত করতেন, যাঁরা এনজিও পরিচয়ে দাপিয়ে ঘোরত। বর্তমান কমিশনারের এই সিদ্ধান্তকে “স্বাগত” জানিয়ে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এভাবে আমদানি-রফতানি প্রক্রিয়ায় শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা পাবে এবং অবৈধ কর্মকাণ্ডে নিয়ন্ত্রণ আসবে ।

 

অন্যদিকে, বেনাপোল কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান বলেন, “আমরা অনেক দিন থেকেই এনজিও অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছিলাম, কিন্তু পূর্ববর্তী সময়ের কর্মকর্তারা তা গুরুত্ব দিয়ে দেখেননি। কমিশনারের দৃঢ়চেতা সিদ্ধান্তের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”

 

প্রবেশ নিষিদ্ধ: কাস্টমস পারমিট ছাড়া কোনো কর্মচারী প্রবেশ করতে পারবে না

 

এছাড়াও খালেদ মোহাম্মদ আবু হোসেন কমিশনার হিসেবে পদ নেওয়ার পর ২৮ ও ২৯ জুলাই থেকে কাস্টম হাউস সম্পূর্ণভাবে কাস্টমস পারমিট কার্ড ছাড়া কোনো ব্যক্তির প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছেন। এই নির্দেশনাটি কার্যক্রমে শৃঙ্খলা আনতে এবং অচাহিদা প্রবেশ প্রতিরোধে নেওয়া হয়েছে ।